মাদকের ভয়াবহতা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়ে আমরা এক পক্ষ আরেক পক্ষকে দোষারোপ করে চলেছি। কিন্তু সত্যিকারের সমাধানটা কী? এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার সময় এসে গেছে। মূলত প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার, ভূটান, নেপাল, আফগানিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কার কারণেই আমরা বিপদে পড়েছি। এসব দেশ নিজেদের মাদক ব্যবসার জন্য বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে মাদকের ভয়াবহতা কালো ছায়া পড়ছে বাংলাদেশেও।
মাদক নিয়ন্ত্রণ ও নিরোধ সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী 'মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন। শনিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
অধ্যাপক অরূপ রতন চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরই মাদক নিয়ন্ত্রণ এবং এ ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পরেও বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়নি। এছাড়া আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সীমান্তটাও পুরোপুরি বন্ধ করতে পারিনি। এজন্য মাদকের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশের সীমান্তরক্ষীরাও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। এটার কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: ফারজানাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা