মাদকের ভয়াবহতা মোকাবেলা প্রতিটি ব্যক্তির দায়িত্ব। আগে নিজে থেকে মাদককে 'না' বলা শিখতে হবে। নিজের ইচ্ছাশক্তির জায়গায় শক্ত হবে। তবেই বিষাক্ত মাদক থেকে দেশকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।'মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে জনপ্রিয় চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াৎ এসব কথা বলেছেন। শনিবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
'সর্বনাশা ইয়াবা'সহ একাধিক চলচ্চিত্রে কাজী হায়াৎ মাদকের নেতিবাচক দিক সম্পর্কে মানুষকে সচতেন করার চেষ্টা চালিয়েছেন। তার মতে, চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব, সেটা করতে হবে। চলচ্চিত্র সুস্থ বিনোদন মাধ্যম, সেখানে সবসময় দুষ্ট শক্তিকে দমন করা হয়। যা দেখে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তিও আনন্দে হাততালি দেন। অর্থাৎ তার মধ্যেও ভালো হওয়ার তাড়না আছে। তাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। কাউন্সেলিং করাতে হবে। বুঝাতে হবে, তার কারণে পরিবার ও সমাজ অস্বস্থিতে পড়ছে।
সঙ্গ দোষ ও সঠিক বিনোদনের অভাবেই মানুষ মাদকের মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে বলে মনে করেন কাজী হায়াৎ। এজন্য তিনি দেশের প্রতিটি গ্রামে একটি ইন্সটিটিউট করার দাবি জানান। যেখানে খেলাধূলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে, চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা থাকবে। মাদকাসক্তদের কাউন্সেলিং করানোর ব্যবস্থা থাকবে। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে অন্যরা এতে নিরুৎসাহিত হয়।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী মিশা সওদাগর, জায়েদ খান, সঙ্গীতশিল্পী হায়দার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড, জিনাত হুদা, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: ফারজানাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
বিডি প্রতিদিন/১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা