বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্ণেল তৌহিদ বলেছেন, সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে বাংলাদেশের চারপাশে বর্ডার রোড হওয়া দরকার। অনেক জায়গায় কাটাতারের বেড়া নেই। সেই ব্যবস্থাও করা দরকার।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স রুমে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত 'মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, ভারতে এক কিলোমিটার পর পর বিওপি। আছে কাটাতারের বেড়া ও বর্ডার রোড। তারা গাড়িতে করে খুব সহজে সীমান্তে পাহারা দিতে পারে। আমাদের সব জায়গায় কাটাতারের বেড়া নেই। বর্ডার রোড নেই। পাঁচ-সাত কিলোমিটার পর পর বিওপি। পাঁচ-সাতজন বিজিবি সদস্য এতখানি জায়গা পায়ে হেঁটে পাহারা দেয়। এত সীমাবদ্ধতার মধ্যে বিজিবি সদস্যদের অর্জন প্রশংসার দাবিদার।
বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজামের সঞ্চালনায় তিনি আরও বলেন, ইয়াবা এখন নানা কৌশলে আসছে। ল্যাপটপের ভেতর, স্যান্ডেলের ভেতরে ইয়াবা আসছে। অনেক পরিবারের সকল সদস্য এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেখানে কে কাকে সচেতন করবে? ইয়াবা ব্যবসা করে রাতারাতি কোটিপতি বনে যাচ্ছেন অনেকে। খারাপ লোকগুলো উপরে চলে যাচ্ছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন না।
বিজিবি পরিচালক বলেন, মাদকের আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে যুবসমাজ। নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে সন্তান তার বাবা-মাকে খুন করছে। বাবা-মা জানে না তার সন্তান মাদকাসক্ত। শিক্ষক জানে না তার ছাত্র মাদকাসক্ত। প্রতি বছর ৫০ হাজারের বেশি মামলা সিস্টেমে আসছে। সমাধান হচ্ছে এক হাজারের কাছাকাছি। ৪৯ হাজার মামলারই সুরাহা হচ্ছে না। ফলে অপরাধীরা সাজা পাচ্ছে না। তাই এটা বেড়েই চলেছে।
তিনি বলেন, প্রতি বছর তিন-চার লাখ নতুন মুখ মাদকের জালে ঢুকছে। আর নিরাময় কেন্দ্র থেকে চিকিৎসা নিয়ে বের হচ্ছে হাজার দশেক। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ