চলতি মাসেই চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কেন্দ্রীয় যুবদলের কমিটি গঠনের পর চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা ও নগর কমিটি গঠনের দিকে এখন দৃষ্টি কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের। চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের কমিটি গঠনের বিষয়ে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় যুবদল নেতারা বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে দুই দফা বৈঠক করেছেন।
অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে পাঁচ বছর ধরে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৫ থানা ও ৪১ ওয়ার্ডে কোন কমিটি নেই বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন যুবদলের। তিন বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ নগর কমিটিও অপূর্ণাঙ্গ। অথচ থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দায়িত্ব বর্তায় মহানগর কমিটির ওপর। কিন্তু তা না হওয়ায় সাংগঠনিকভাবে নিষ্প্রাণ হয়ে পড়েছে নগর যুবদল। এ অবস্থায় নগর যুবদলকে পুনর্গঠনে যুবদল কেন্দ্রীয় নেতারা দৃষ্টি দিয়েছেন। সম্ভাব্য কমিটিতে স্থান পেতে ইতোমধ্যে পদপ্রত্যাশীরা কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগও বাড়িয়ে দিয়েছেন। লবিং শুরু হয়েছে। নতুন কমিটি গঠন হলে নিষ্প্রাণ নগর যুবদলে প্রাণ ফিরে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নগর যুবদলের সভাপতি কাজী বেলাল বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন নিয়ে বার বার চেষ্টা করা হয়েছে। কেন্দ্রেরও একটা চাপ ছিল। কিন্তু বিগত সময়গুলোতে আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যস্ততার জন্য করা হয়ে ওঠেনি। এবারের কমিটিতে নিশ্চয় আন্দোলন-সংগ্রামে যারা ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা প্রয়োজন।
এদিকে দীর্ঘ পাঁচ বছরেও কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে না পারা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দীপ্তি বলেন, কমিটি হওয়ার পর থেকেই নানা টানা-হেঁচড়া, মান-অভিমান ছিল। আন্দোলন-সংগ্রামে জেল জুলুম সহ্য করতে হয়েছে। নানা প্রতিকূলতার কারণে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়ে ওঠেনি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন দিপ্তী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শামসুল হক যুবদলের সম্ভাব্য কমিটিতে সভাপতি হওয়ার জন্য তৎপরতা শুরু করেছেন। এছাড়া নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার জন্য জোর লবিং করছেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদ আহমেদ উল আলম রাসেল, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, নগর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম ও সম্পাদক শাহেদ আকবর। এছাড়া নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজও যুবদলের সম্পাদক হতে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ