চট্টগ্রাম মহানগরের গুরুত্বপূর্ণ বেহাল এয়ারপোর্ট রোডের সংস্কার এবং নির্মাণাধীন দুটি ব্রিজের কাজ আগামী জুনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
সোমবার দুপুরে নগর ভবনে চসিক এলাকায় জাপানের জাইকার অর্থায়নে ব্রিজ ও রাস্তার চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি এবং দ্রুত বাস্তাবায়নের লক্ষ্যে আয়োজিত বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বৈঠক শেষে মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অসন্তোষ প্রকাশ করাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক। তবে কাজ বিলম্বের কিছু যৌক্তিক কারণও আছে। সিটি কর্পোরেশন প্রথম জাইকার কাজ করছে। জাইকার কাজগুলো করার যে অভিজ্ঞতা থাকা দরকার তা ছিল না। সংশ্লিষ্টদের এ কাজের অভিজ্ঞতা কম। তাছাড়া দুই মাস পর ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়। তিনি বলেন, গত বছর প্রধান প্রকৌশলী পেলাম। প্রধান প্রকৌশলী না থাকায় তখন বন্ধ ছিল। সবগুলো কাজেরই আমি তদারকি করি। তবে সড়ক বেহাল ও ব্রিজ নির্মাণে কোনো গাফিলতি আছে আমি বলব না। কারণ এখানে পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিল না, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানও ছিলনা। বিদায় সমস্যা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মীর ইলিয়াছ মোরশেদ, জাইকার উন্নয়ন কাজের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর মো. শাহজাহান মোল্লা, চসিকের প্রধান প্রকৌশলী কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিনসহ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারগণ।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার বন্দরনগরী চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বিমানবন্দরের ভিআইপি সড়ক ও ওই সড়কের নির্মাণাধীন দুটি ব্রিজ নির্মাণে বিলম্ব দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে ‘কেন রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে এবং কার অবহেলায় হয়েছে’ তার কারণ জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নেভালের পথ দিয়ে যখন আসি সে রাস্তার দুরবস্থা দেখে আমি সত্যিই খুব দুঃখ পেলাম। আমি ঠিক জানি না, এই রাস্তার এই দুরবস্থা কেনো। এখানে কয়েকটি ব্রিজ, বড় বড় গর্ত খুড়ে রাখা হয়েছে ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়নি। আমি মেয়র সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলাম, এটা তো এলজিইডি এবং সিটি কর্পোরেশনের করার কথা। তারাই দায়িত্ব নিয়েছে। কিন্তু এই দেরিটা কেন হচ্ছে সেটা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। আমরা চাই না চট্টগ্রামের মতো এতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রাস্তাঘাটের এমন দুরবস্থা থাক। এটা কার গাফিলতি সেটা আমি জানতে চাই।’