গুলিতে ছাত্র নিহতের ঘটনায় সিটি ইউনিভার্সিটি বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের মূল ফটকে বন্ধের নোটিশ টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়। সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাভারের বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় অবস্থিত সিটি ইউনিভার্সিটি। শিক্ষার্থীরা জানান, সিনিয়র বড় ভাইদের প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গতকাল সোমবার আশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাওন খাগান বাজারে শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। এসময় ঘটনাস্থলেই টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাতের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও সাতজন আহত হয়।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই ঘটনার পর আনোয়ার জং আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর করলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের পিটুনিতে আহত হয় আরও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগামী ১৭ তারিখ পর্যন্ত ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করেছে। শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে হল ছাড়তে শুরু করেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বাপ্পিকে প্রধান আসামী করে বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত শিক্ষার্থী সিফাতের পরিবার। এখন পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এখন বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে দোকান-পাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নিহত কলেজ ছাত্রের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করে লাশ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই তারিকুল ইসলাম।
সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কামরুজ্জান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বেশ কিছু আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে ও বেশ কিছু ছবি পাওয়া গেছে। জড়িতদের ধরতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/১১ এপ্রিল, ২০১৭/ফারজানা