আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, 'শান্তি আনতে হলে জনগণের ক্ষমতায়ন করতে হবে। লিবিয়া, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতার সেখানে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু জনগণের ক্ষমতায়ন হয়নি। জনগণ কি চায়-তা যদি কেউ ভাবেন তিনি হচ্ছেন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা।'
আজ শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ওমর ফারুক চৌধুরী আরও বলেন, কোনো তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই তিনি শান্তি চুক্তি করেছিলেন। সেটা জাতিসংঘসহ সারাবিশ্ব জেনেছিল। প্রশংসিত হয়েছিল। শুধুমাত্র হিলারির বাধার কারণে শেখ হাসিনা শান্তিতে নোবেল পাননি। বারাক ওবামা যে নোবেল পেয়েছেন, তার কোনো ফিলোসফি নেই। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) পার্বত্য শান্তি চুক্তি সই হয়, যার আওতায় শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণের ফলে পাহাড়ে রক্তাক্ত সংঘাতের অবসান ঘটে।
ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, জিয়ার সময়ে হ্যাঁ-না ভোট হয়েছে। ১০টা হোন্ডা, ১০টা গুন্ডা, ভোট ঠান্ডা। এরশাদের সময় বোকা বাক্সে ভোট ছিনিয়ে নিল। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে কেউ সন্ত্রাস করছে না। ৫টা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তারা (বিএনপি) জিতেছে। আগে মঙ্গা ছিল এখন নেই। ৯০০ কোটি টাকার গোলাপ বিক্রি হয় একদিনে। টক শোতে যার যা খুশি বলছে। এ কে খন্দকার বইয়ে বললেন বঙ্গবন্ধু জয় বাংলা বলেননি, বলেছিলেন পাকিস্তান জিন্দাবান। আমরা সবাই বললাম বই বাজেয়াপ্ত করতে। শেখ হাসিনা বললেন- দরকার কি? যার যা খুশি লিখছেও।
বিএনপির বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি লজিং মাস্টার রিজভী প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিং করেন আর সাংবাদিকরা তা লিখে দিচ্ছেন। ভিশন ২০৩০ দিল। ধন্যবাদ দিলাম। মির্জা ফখরুল বলছেন, কৌতুক করছি। জঙ্গিবাদ ছেড়ে তারা নির্বাচনমুখী হয়েছেন তাই ধন্যবাদ দিয়েছি।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজুর, অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক আনিসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-অর্থ সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, নগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, উত্তর জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ এইচএম রাশেদুল আলম, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ ও উত্তর জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এমএ ওহাবসহ যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও নগর-জেলার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন রাতে আরেকটি অনুষ্ঠানে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন ওমর ফারুক চৌধুরী।
বিডি প্রতিদিন/২০ মে ২০১৭/এনায়েত করিম