ঢাকার সাভারে রানা প্লাজা ভবন নির্মাণে দুর্নীতি অভিযোগে সোহেল রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। একই সঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ জুলাই দিন ধার্য করা হয়েছে। এছাড়া ছয়জনকে এ মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। ঢাকা বিভাগীয় স্পেশ্যাল জজ আদালতের বিচারক এম আতোয়ার রহমান এ আদেশ দেন। এর ফলে এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্য শুরু হলো।
সোহেল রানা ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন তার বাবা আবদুল খালেক, মা মর্জিনা খাতুন, সাভার পৌরসভার সাবেক মেয়র রেফাত উল্লাহ, সাভার পৌরসভার সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়, নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, সাবেক উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান, সাভার পৌরসভার সাবেক টাউন প্ল্যানার ফারজানা ইসলাম ও লাইসেন্স পরিদর্শক মো. আব্দুল মোত্তালিব।
এছাড়া যারা অব্যাহতি পেয়েছেন তারা হলেন- মোহাম্মদ আলী খান, মাসুদ রেজা, সাজ্জাদ হোসাইন, মর্জিনা বেগম, আবুল বাসার, আমিনুল ইসলাম, বজলুস সামাদ ও আনিসুর রহমান।
মামলার নথি সূত্রে জানাগেছে, চার বছর আগে সাভারে ধসে পড়া রানা প্লাজা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে ২০১৪ সালের ১৫ জুন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম সাভার মডেল থানায় এ মামলা করেন। পরে ঘটনার তদন্ত করে চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভবন মালিক সোহেল রানা ও তার বাবা-মাসহ ১৮ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, রানা প্লাজা নামে ছয়তলা একটি শপিং কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল নকশা অনুমোদন করে সাভার পৌরসভা। ২০০৮ সালের ২২ জানুয়ারি ওই ছয়তলা ভবনের ওপর আরও চার তলা নির্মাণের অনুমোদন চাওয়া হয়। এরপর আগের অনুমোদনের নথির তথ্য গোপন করে নতুন নথি খুলে পৌর কর্তৃপক্ষ দশ তলা ভবনের নকশা অনুমোদন করে। তাছাড়া রানা প্লাজা নির্মাণের আগে শপিং কমপ্লেক্স করার কথা বলা হলেও পরে সেখানে পাঁচটি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি স্থাপনের অনুমতি দেয় সাভার পৌরসভা। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকালে সাভার বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়লে নিহত হন এক হাজার ১৩৫ জন, আহত হন আরও হাজারখানেক শ্রমিক। এ ঘটনায় ভবন মালিক সোহেল রানার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে আরও দুটি মামলা চলছে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ মে, ২০১৭/মাহবুব