নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার কাঁচপুরে লাভলী ও আমন্ত্রণ সিনেমা হল থেকে বিপুল পরিমাণ পাইরেসি সিডি ও সরঞ্জামাদিসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত র্যাব-১১ এবং চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও পাইরেরি বিরোধী টাস্কফোর্স টিম এ অভিযান চালায় বলে বুধবার দুপুরে র্যাব-১১ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এ সময় আটককৃত ১৮ জন ও উদ্ধারকৃত সরঞ্জামাদি গণমাধ্যমের সামনে হাজির করা হয়।
র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান জানান, একটি সংঘবদ্ধ চক্র সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলা সিনেমার স্বত্ব ক্রয় ছাড়াই পাইরেসি করে সংশ্লিষ্ট সিনেমার নির্মাতা/প্রযোজক এবং চিত্রশিল্পীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে আসছে। পরে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে লাভলী সিনেমা হল ও আমন্ত্রণ সিনেমা হলে অভিযান চলে। যেখানে র্যাবের সঙ্গে চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ও পাইরেরি বিরোধী টাস্কফোর্স কর্মকর্তা এম আর চৌধুরী আলম উপস্থিত ছিলেন।
ওই ঘটনায় আটক ১৮ জন হলেন মনির হোসেন (৪৫), মো. শরীফ (২৭), লালচাঁন (২৫), আরিফ (২১), খন্দকার মিজানুর রহমান (৪৯), মাসুম (১৯), সোহাগ ত্রিপুরা (২৩), লিমন (২০), ফয়সাল (২৪), রানা (২০), আবদুল্লাহ হাসনাত রাহাত (২৪), জিহাদ (২৭), সোহেল (২৯), রাসেল (২৬), জাকির হোসেন (৪৩), শাহআলম (১৮), জাকির (৪৩) ও রফিকুল ইসলাম (২৪)। তারা লাভলী ও আমন্ত্রন সিনেমা হলের বিভিন্ন স্তরের কর্মচারী।
উদ্ধার করা হয়েছে ২৭টি মনিটর, ৩০টি কম্পিউটারের সিপিইউ, ১৭টি বিড বক্স, ৩২টি স্পিকার, ১৯টি কী বোর্ড ও সমান সংখ্যক মাউস, ২টি প্রজেক্টর, ৩ হাজার ৪৮৫টি সিডি, পেনড্রাইভ, কার্ড রিডার ও মেমোরি কার্ড।
আটককৃতরা স্বীকার করেছে যে তারা বিভিন্ন সিনেমা হলে গোপনে ধারণকৃত সিনেমাগুলো কপি করে বিক্রি করে। আর এতে কোন কোন সিনেমা হলের কর্মচারী ও সংশ্লিষ্টরাও জড়িত। কখনো কখনো এসব ছবির সঙ্গে অশ্লীল ছবির অংশ জড়িয়েও বাজারজাত করা হয়। এসব কারণে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র নির্মাতা কাজী হায়াৎ, অভিনেতা অমিত হাসান, ডন, কণ্ঠশিল্পী পথিক নবীসহ চলচ্চিত্র ও মিউজিক সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। তারা র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি পাইরেরি বন্ধে অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
বিডি-প্রতিদিন/১৯ জুলাই, ২০১৭/মাহবুব