রংপুরের মাজারের খাদেম রহমত আলী(৬০) হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গ সংগঠন জেএমবির ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
বুধবার দুপুরে রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার ১৪ আসামির মধ্যে ৯ জনের উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন করেন বলে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রথিশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, মামলার অভিযোপত্রভুক্ত দুই আসামির মধ্যে নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে বাইক হাসান গত বছরের ২ আগস্ট ভোরে রাজশাহীর মতিহার থানার আশরাফের মোড় এলাকায় এবং সাদ্দাম হোসেন ওরফে রাহুল গত ৫ জানুয়ারি রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় আদালত তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেন।
আদালতে উপস্থিত ৯ জন আসামিরা হলেন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের কমান্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী (৩৩), ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ইছাহাক আলী (৩৪), লিটন মিয়া ওরফে রফিক (৩২), সাখাওয়াত হোসেন (৩০), আবু সাঈদ(৩০) ও তৌফিকুল ইসলাম সবুজ(৩৫),সারোয়ার হোসেন সাবু ওরফে মিজান (৩০), সাদাত ওরফে রতন মিয়া(২৩) ও জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজিব গান্ধী(২৬)।
অপর তিন আসামি জেএমবি সদস্য চান্দু মিয়া(২০), রাজিবুল ইসলাম মোল্লা ওরফে বাদল ওরফে বাঁধন(২৫) ও বাবুল আখতার ওরফে বাবুল মাষ্টার(৩৫) পলাতক থাকায় আদালত তাদের গ্রেফতারে পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
আইজীবী রথিশ জানান, অভিযোগ গঠনের সময় আদালত আসামিদের কাছে জানতে চান তারা দোষী না নির্দোষ। ৯ আসামিই নিজেদেরকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। অভিযোগ গঠনের পর আগামী ২৩ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করে দেন আদালত।
২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরার সময় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের চৈতার মোড়ে মাজার শরীফের খাদেম রহমত আলীকে (৬০) কতিপয় দুর্বৃত্ত তার ওপর হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে রহমত আলীকে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে হত্যা মামলা করেন। রংপুরে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যার ৩৮ দিনের মাথায় খুন হন খাদেম রহমত আলী।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মামুন অর রশীদ গত বছরের ৩ জুলাই জেএমবির রংপুর আঞ্চলিক কমাণ্ডার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রীসহ ১৪ জেএমবির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
খাদেম হত্যা মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, ইছাহাক আলী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক ও সাখাওয়াত হোসেনকে জাপানি নাগরিক হোশি কোনিও হত্যা মামলায় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার। তারা বর্তমানে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
বিডি-প্রতিদিনি/১৬ আগস্ট, ২০১৭/মাহবুব