শিরোনাম
- আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
রোগীর সঙ্গে প্রতারণা
তিন চিকিৎসকের নামে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন

অপারেশনের নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজশাহীতে ক্লিনিক মালিকসহ তিন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার কাকলী আক্তার সাথী নামে এক রোগী বাদী হয়ে চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- নগরীর লক্ষীপুর এলাকার জমজম ইসলামী হাসপাতালের কর্মরত ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাপারোসকপি ও জেনারেল সার্জন ডা. একেএম গোলাম কিবরিয়া ডন, ডা. জয়নাল আবেদিন, ডা. আবদুল লতিফ এবং জমজম হাসপাতালের পরিচালক মাইনুল ইসলাম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ মে পেটের ব্যথায় রাজশাহীর জমজম হাসপাতালে ভর্তি হন পবার টেংরামারি এলাকার মিলনের স্ত্রী কাকলী আক্তার সাথী। এরপর তিনি জানতে পারেন তার অগ্নাশয়ে টিউমার জাতীয় পুরু একটি খণ্ড আছে। মামলার সাক্ষী জামিরুল আলী ও হোসেন আলী ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জয়নাল আবেদিন, ডা. আবদুল লতিফ ও ডা. একেএম গোলাম কিবরিয়া ডনের কাছে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। এরপর কৌশলে অপারেশনের নামে ওই চিকিৎসকরা প্রথমে এক লাখ টাকা এবং পরে ৭০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাদের শর্তে রাজি হন রোগী কাকলী। সে অনুযায়ী অর্ধেক টাকা নিয়ে অপারেশন করানো হয়। পরে ২৬ মে সব টাকা আদায় হলে বাদীকে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় দেওয়া হয়।
ঘটনার ২ মাস পর ১৭ জুলাই বাদী আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে আল্ট্রাসোনিক রিপোর্ট নিয়ে মামলার সাক্ষী রামেক হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক এস.এম আহসান শহিদ ও ডা. শরীফা বেগমের কাছে দেখান। পরে বাদী কাকলী আক্তার সাথী জানতে পারেন যে তার আগের মোটা টিউমারটি এখনও সেই অবস্থাতেই আছে। এ মাসের ৯ তারিখে মামলার সাক্ষী অভিযুক্ত চিকিৎসকদের বিষয়টি জানালে তাদের কিছুই করার নেই বলে ধমক দিয়ে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন।
বাদীর অভিযোগ, অপারেশনের নামে অর্থ আত্মসাত করার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত চিকিৎসকরা হত্যার পরিকল্পনা করে। এতে করে বাদীর শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়ে। অপারেশনের নামে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র চালিয়ে গুরুতর কাটা জখম করে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি করার অভিযোগ এনে চিকিৎসকদের নামে আদালতে মামলাটি করা হয়।
বাদী কাকলী আক্তার বলেন, ‘পেটের সমস্যার কারণে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়েছি। অবশেষে জমজম ক্লিনিকে এসে আমার স্বামী সব রিপোর্ট দেখালে ডা. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ওইদিনই অপারেশন করা না গেলে রোগীকে বাঁচানো যাবে না। বেশি দেরি না করে এক্ষনি হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে আমাকে ৫ মিনিট সময়ের মধ্যে অপারেশনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর বিকেলে সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত অপারেশন থিয়েটারে রাখে। ঘটনার তিনদিন আমি অচেতন ছিলাম।’
তবে ডা. জয়নাল বলেন, ‘আমাদের যা করার আমরা করে দিয়েছি। এখন আর আমাদের কিছুই করার নাই।’
বিডি প্রতিদিন/১৬ আগস্ট ২০১৭/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর