হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিনের মাথায় রাজশাহী মহানগরীর মতিহারের কাপাশিয়া মৃধাপাড়ায় বৃদ্ধাকে গলাটিপে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। মামলার মূল আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে মতিহার থানা পুলিশ। এরপরই রহস্য উন্মোচন হয়। গ্রেফতারকৃত আসামি জানায়, এক জোড়া কানের দুলের জন্যই ওই বৃদ্ধকে গলা টিপে হত্যা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক জাহিদ হাসানের আদালতে গ্রেফতারকৃতকে হাজির করা হয়। এরপর সে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দী রেকর্ডের পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা চালায় মৃধাপাড়াসহ বিভিন্ন জুয়েলারির দোকানে। পরে সন্দেহজনকভাবে সোমবার রাতে মৃধাপাড়া গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে সেন্টু মৃধাকে আটক করা হয়। এ সময় সেন্টু ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে শিকার করে। পরে সেন্টুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতেই বাখরাবাদ এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে পিন্টু জুয়েলার্সের মালিক সুমনকে আটক করা হয়। পরে সুমনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় নিহত জমেলা বিবির কানের এক জোড়া দুল।
ওসি মেহেদী হাসান জানান, সেন্টু ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে স্বীকার করেছে সে নিজেই বৃদ্ধাকে হত্যা করেছে। ঘটনার রাতে সেন্টু প্রাচীর টপকে বৃদ্ধা জমেলা বিবির বাড়িতে ঢোকে। এরপর বৃদ্ধার কাছ থেকে চাবি নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বৃদ্ধা ঘুম থেকে জেগে উঠলে সেন্টু বৃদ্ধার বুকের উপর চেপে বসে এবং বাম হাত দিয়ে বৃদ্ধার গলা টিপে হত্যা করার পরে কানের এক জোড়া দুল টান দিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর সকালে বাখরাবাদ এলাকার পিন্টু জুয়েলার্সের মালিক সুমনের দোকানে গিয়ে মাত্র ৪ হাজার টাকায় ওই দুল জোড়া বিক্রি করে দেয়। এর আগে গত ৩১ আগস্ট বুধবার গভীর রাতের কোনো এক সময় কাপাশিয়া মৃধাপাড়া এলাকার মৃত এমাজ আলীর স্ত্রী বৃদ্ধা জমেলা বিবিকে (৮০) গলা টিপে হত্যা করা হয়। ৯ মেয়ের বিয়ে দেওয়ার পর বাড়িতে একাই থাকতেন জমেলা।
বিডি প্রতিদিন/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭/হিমেল