নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে। ৫/৬ জনের সহযোগীদের সহায়তায় মকবুল (২০) নামে এক বখাটে তাকে ধর্ষণ করে বলে মামলা হয়েছে।
বুধবার বিকালে ফতুল্লার গাবতলী টাগারপাড় এলাকায় ওই ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটলেও রাত ১১টায় ধর্ষিতার বড় ভাই বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের সহযোগী সাইফুল ইসলাম রাসেলকে (২৫) গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত রাসেল গাবতলী টাগারপাড় এলাকার হাজী সালাউদ্দিনের ছেলে।
ধর্ষিতার বড় ভাই মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার ছোট বোন ফতুল্লার ইসদাইর রাবেয়া হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। বুধবার বিকেলে টাগারপাড় এলাকার সালাউদ্দিনের বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে তার বোনকে তুলে নিয়ে যায় গাবতলী টাগারপাড়ের তাইজুল হক বেপারীর ছেলে মকবুলসহ তার সহযোগী রাসেল, গাফ্ফার, আসিফ, মুন্নাসহ অজ্ঞাত নামা আরো ২/৩ জন। পরে তাকে রাসেলের ভাড়া বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে মকবুল একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং তার সহযোগীরা বাহিরে পাহাড়া দেয়। পরে স্কুলছাত্রীকে আহত অবস্থায় ফেলে সবাই পালিয়ে যায়। এরপর ছাত্রীর ডাক চিৎকারে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া এক নারী তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে বাড়িতে খবর দেয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষকের এক সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আর ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রী খুব অসুস্থ হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/মাহবুব