কমিশনকে নির্বাচনী ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে হবে মন্তব্য করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচনী ব্যয়ের বৈধসীমা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। বর্তমান ব্যবস্থা হয়ে পড়েছে 'বেস্ট ডেমোক্রেসি মানি ক্যান বাই'। বিগত কমিশন এ ব্যয়সীমা ১৫ লাখ থেকে ২৫ লাখ টাকা করেছে। ফলে সাধারণ নাগরিকদের ভোটাধিকার থাকলেও প্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর জাতীয় সংসদ পরিণত হয়েছে কোটিপতিদের ক্লাবে। তাই কমিশনকে নির্বাচনী ব্যয়ের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে সুজন আয়োজিত 'সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সুস্পষ্ট করণীয় : ভোটার তালিকার সঠিকতা নিশ্চিতকরণ, সীমানা পুনর্নির্ধারণ, ভোটারদের তথ্যভিত্তিক ক্ষমতায়ন, নির্বাচনী ব্যয় হ্রাস ও নিয়ন্ত্রণ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চলনায় এবং সভাপতি এম হাফিজউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আমলাদের রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে, নির্বাচনের নিরাপত্তা ইস্যুতে অস্বাভাবিক অর্থ খরচ করা হচ্ছে, ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের কথা থাকলেও তা করা হয়নি, রাজনীতি এখন সুবিধাভোগী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান পদ্ধতিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া সম্ভব নয়।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আইন হয়নি। যাকে যেভাবে দরকার তাকে সেভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম আরও বলেন, গত নির্বাচনে নিরাপত্তার জন্য ৩৩৩ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এই টাকা আমরা কাদের দিলাম এবং তার থেকে কী পেলাম। যাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দলীয়করণের অভিযোগ আছে, যারা পক্ষপাতদুষ্ট এবং শুধু তাই নয়, আমরা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দেখেছি তারাই সিল মেরেছে, তারাই ভোটারদের যেতে দেয়নি। তাই আমরা বলতে চাই, নিরাপত্তার বিষয়টি কোটি কোটি টাকা খরচ করে ইজারা না দিয়ে নির্বাচন কমিশনকেই নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
