চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ দুইজন খুন হয়েছে। এছাড়া এক স্কুলছাত্রী মা-বাবার উপর অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার পৃথক সময়ে এ তিনটি ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে নগরীর সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
সুদীপ্ত বিশ্বাস স্থানীয় বাবুল বিশ্বাসের ছেলে। সরকারি সিটি কলেজ থেকে সদ্য মাস্টার্স পাস করেন তিনি। সিটি কলেজ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সুদীপ্তের গ্রামের বাড়ি বাঁশখালী উপজেলায়।
পুলিশ এ ঘটনার কোনো কারণ জানাতে না পারলেও রাজনীতির অন্তঃকোন্দ্বলে জের ধরে এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আকতার জানান, সকালে দুইটি ছেলে এসে সুদীপ্তকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর নির্জন জায়গায় নিয়ে তাকে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘটনাস্থলেই তাকে খুন করা হয়।
তিনি আরও জানান, 'যতটুকু জেনেছি এটি গ্রুপিং রাজনীতির জের। তবে ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের আমাদের টিম কাজ করছে।'
পুলিশ জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সুদীপ্তর ফেসবুক পোস্টে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে বিভেদের বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। দীর্ঘদিন ধরে সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচন হচ্ছে না। সুদীপ্ত ছিলেন সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সদস্য। নির্বাচন না হওয়ার বিষয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাসে সাবেক নেতাদের প্রতি কটাক্ষ করা হয়েছিল। খুনের ঘটনার সঙ্গে এসব বিষয় জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।
এদিকে, নগরীর আকবর শাহ থানার কৈবল্যধাম মন্দিরের অদূরে 'বন্ধুদের' ছুরিকাঘাতে জয় দাশ (২২) নামে এক যুবক খুন হয়েছেন। দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে তার মরদেহ নেয়া হয়। তবে জয়দাশ এর আগেই খুন হন বলে জানায় পুলিশ। তিনি ওই এলাকার সুবক দাশের ছেলে।
আকবর শাহ থানার উপ-পরিদর্শক আবদুল্লাাহ বলেন, এক যুবক ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। তার মরদেহ চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কি কারণে তাকে খুন করা হয়েছে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।
অন্যদিকে, সাতকানিয়া উপজেলার রসুলবাঘ এলাকার নিশাত মজুমদার (১৫) নামে এক নবম শ্রেণির ছাত্রী মা-বাবার সঙ্গে অভিমান করে বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিশাত ওই এলাকার আবুল বশরের মেয়ে।
জেলা পুলিশের মেডিকেল-১ টিমের সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, নিশাতের পরিবারের কাছে শুনেছি 'পড়ালেখা না করায় মা-বাবা তাকে বকা দিয়েছিল।' তাতে ক্ষুব্ধ হয়ে সে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
বিডি প্রতিদিন/০৬ অক্টোবর ২০১৭/আরাফাত