চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিবৃতির ব্যাখ্যা দিয়েছে চসিক। আজ সন্ধ্যায় চসিকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে এ ব্যাখ্যাটি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ‘পূর্বের কর মূল্যায়নের নবায়ন চাই, আইনের দোহাই দিয়ে আইন ভাঙছেন মেয়র’ শীর্ষক বিবৃতি প্রেরণ করেন।
চসিকের ব্যাখ্যায় বলা হয়, ‘প্রতি পাঁচ বছর পর পর গৃহকর পুনর্মূল্যায়নের বিষয়ে বিধান রয়েছে। আইন ও বিধি অনুযায়ী পূর্বের মূল্যায়ন নবায়নের কোনো সুযোগ নেই। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ইতোপূর্বে কৃত পঞ্চবার্ষিকী কর মূল্যায়ন সম্পূর্ণ বৈধ পদ্ধতিতে Taxation Rules 1986 এর ১৯,২০,২১ বিধিমতে সম্পন্ন করা হয়েছে এবং বর্তমানে করবিধি ৭ মতে আপিল শুনানি ও কর চূড়ান্ত করা হচ্ছে। কর নির্ধারণের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি আইনি কাঠামোয় চলমান রয়েছে। অবৈধভাবে কর নির্ধারিত হলে যেকোন ব্যক্তি আইনের আশ্রয় নিতে পারতো।’
চসিক ব্যাখ্যায় আরো বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম নগরে প্রতিবছর ঘরবাড়ি অবকাঠামো বৃদ্ধি পায়। পূর্বে যেখানে ঘরবাড়ি ছিল না সেখানে নতুন ঘরবাড়ি হয়েছে। একতলা বিল্ডিং ৫/৬- তলা পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। একই মালিকের একাধিক ভবন নির্মিত হয়েছে। আগে একটি ফ্ল্যাটের ভাড়া যা ছিল তা বর্তমানে কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আগের মেয়রগণ যে কর নির্ধারণ করেছিলেন, তা বর্তমানে অবকাঠামোগত প্রবৃদ্ধির কারণে স্বাভাবিক ভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আগেও অ্যাসেসমেন্টে যে মূল্যায়ন নির্ধারণ করা হয়েছিল তা আপিলে সহনীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। ঠিক একইভাবে বর্তমানেও রিভিউ বোর্ডে axation Rules 1986 এর বিধি ৭ মতে শুনানি গ্রহণ করে নাগরিকের সাধ্য ও সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা করে কর চূড়ান্ত করা হচ্ছে। নগরবাসী শুনানির পর খুশিমনে সন্তোষ চিত্তে বাড়ি ফিরছে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার