আগামী ৩ মার্চ খুলনা সফরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গুরুত্বপূর্ণ দুই নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা।
তাঁর এই সফরের সময় খুলনাবাসীর পক্ষে ২১ দফা দাবি প্রস্তুত করেছে সামাজিক সংগঠন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটি। মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-খুলনায় পাইপ লাইনে দ্রুত গ্যাস সরবরাহ, খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ, খুলনা-যশোর-ঢাকা মহাসড়ক উন্নয়ন, মংলা বন্দরের আধুনিকায়ন, বঙ্গবন্ধু মিডিয়া কমপ্লেক্স, আন্তর্জাতিক মানের পাবলিক হল নির্মান, খুলনার আলীয়া মাদ্রাসাসহ কলেজ ও স্কুল সরকারিকরণ, আবু নাসের হাসপাতাল পূর্ণাঙ্গভাবে চালু, মেরিন একাডেমী, পূর্নাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক কাগজকল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও আইটি পার্ক নির্মাণ।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মিজানুর রহমান এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী খুলনার উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। আধুনিক রেলস্টেশন, খুলনা-মংলা রেল লাইন নির্মান, শিল্পকলা একাডেমী, মংলা বন্দরের নাব্যতা রক্ষায় খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে। ইপিজেড, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, কুয়েট, কেডিএ কে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এ অঞ্চলের উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো অনেক দাবি রয়েছে। নতুন করে সেগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হবে।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৩ মার্চের জনসভায় ৪৭ টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৫২ টি নতুন প্রকল্প কাজের ফলক উম্মোচন করবেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এ বছরের মধ্যেই সেখানে দৃশ্যমান স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে ঘিরে বর্ণিল রূপে সেজেছে খুলনা। রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণের পাশাপাশি চোখ ধাঁধাঁনো আলোকসজ্জায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে বন্দর নগরীতে। কেন্দ্রিয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এসএম কামাল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী যখন কোনো এলাকা সফর করেন, তখন সেই এলাকার নেতা-কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এর জের অনেকদিন থাকে। ফলে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের আগে এমন সফর এ অঞ্চলে আওয়ামী লীগের জন্য খুবই উৎসাহজনক।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর খুলনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চতুর্থ সফর এটি। এর আগে ২০১১ সালে খুলনার খালিশপুরে ও ২০১৩ সালে খুলনা সার্কিট হাউস ময়দানে জনসভায় বক্তৃতা করেন তিনি। এছাড়া ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর খুলনা সফরে শিপইয়ার্ডে নৌবাহিনীর দুটি জাহাজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন (কীল লেয়িং) করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিডি প্রতিদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/হিমেল