কাকরাইলের মসজিদে তাবলীগের কয়েকজন শুরা সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১০-১২টি বাসভর্তি প্রায় হাজারখানেক মাদ্রাসার ছাত্র কাকরাইল মসজিদে প্রবেশ করে তালীগের সুরাদের রুম, মাশওয়ারা কক্ষ ও বিদেশী মুসল্লিদের কামরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ সময় দু’টি নেটওয়ার্ক জ্যামার বসিয়ে মাওলানা সাদের অনূগত শুরাদের সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখে।
তাবলিগ জামাতের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে, এ বছরের বিশ্ব ইজতেমায় তাবলীগ জামাতের বিশ্ব আমির মাওলানা সাদের আগমনকে কেন্দ্র করে তাবলীগের শুরাগণ দু’টি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। বিবাদ থাকার পরেও কাকরাইলে তারা মিলেমিশেই কাজ করছিলেন। কিন্তু হেফাজতপন্থী রাজনৈতিক কয়েকজন আলেমের চাপে এখন উভয়পক্ষ মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে।
গত দুইদিন কাকরাইলের অচলাবস্থার সঙ্গে বেফাক ও হেফাজতের সংশ্লিষ্টতাকে অস্বীকার কর বেফাকের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, রমজানের আগে এমনিতে মাদ্রাসার ছাত্ররা তাবলিগে বের হয়, তাই কাকরাইলে এত মাদ্রাসার ছাত্র অবস্থান নিয়েছে।
এটিকে কেউ হয়তো ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করতে পারে, কিন্তু এর সঙ্গে বেফাক ও হেফাজতের সরাসরি কোন সম্পর্ক নেই।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন