খুলনা সিটি নির্বাচনে আজ রবিবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময়, পথসভা ও নির্বাচনী প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক আজ সকালে নগরীর ৩০নং ওয়ার্ড রূপসা স্ট্যান্ড রোড, দাদা ম্যাচ ফ্যাক্টরী এলাকা, ৩১নং ওয়ার্ড, মোক্তার হোসেন সড়ক এলাকায় গণসংযোগ করেন। এসময় তিনি কয়েকটি পথসভায় বক্তৃতা করেন।
পরে তিনি নগরীর নগরীর সেন্ট জেভিয়ার্স হাই স্কুলে মা সমাবেশ ও মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আলোচনা সভায় যোগ দেন। তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, "আমি নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করা হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন, মশা নিধন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। সিটি কর্পোরেশন হবে জবাবদিহিমূলক স্বচ্ছ ও দূর্নীতি মুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান।"
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুর রহমান রিপন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী আকবর শেখ, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু সকাল থেকে নগরীর গল্লামারী ব্যাংক কলোনী, কাঁচা বাজার, ২০নং ওয়ার্ড, শেখপাড়া চামড়া পট্টি, শেরেবাংলা রোড, ফেরিঘাট ও শেখপাড়া বাজার এলাকায় গনসংযোগ ও পথসভা করেন।
এসময় নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, "সরকার জনগনের সর্বশেষ অধিকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। সকল নির্বাচনকে তারা প্রহসনে পরিণত করেছে। সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে বিএনপি। এই চ্যালেঞ্জে জিততে না পারলে একদলীয় দুঃশাসন আরও দীর্ঘায়িত হবে।"
তিনি আরও বলেন, মহানগরী খুলনায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে প্রকৃতি থেকে সবুজ হারিয়ে যাচ্ছে। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে যারা তাদের বাড়ির আঙ্গিনায়, ছাদে, কিংবা প্রতিষ্ঠানে সবুজায়ন করবে তারা ট্যাক্স প্রদানের ক্ষেত্রে বিশেষ রেয়াত পাবে।
এসময় বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিজেপি নেতা এ্যাড. লতিফুর রহমান লাবু, বিএনপি নেতা সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. বজলার রহমান, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, জামায়াত নেতা এ্যাড. শাহ আলম, বিএনপি নেতা শেখ আব্দুর রশিদ, আবু হোসেন বাবু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, আজিজুল হাসান দুলু উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর