রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় পিকআপের নিচে পড়ে যাওয়া ফয়সাল মাহমুদকে (১৮) নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সে শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকেরা।
বুধবার সকালে ঢাকার দনিয়া কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডের ভর্তি করে। বর্তমানে তাকে ওই হাসপাতালের জেনারেল ওয়ার্ডের (পুরুষ) ২২৮ কক্ষে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ফয়সাল মাহমুদ, ঢাকা কদমতলী ১১৯৭ মোহাম্মদ বাগ এলাকার বাসিন্দা শামসুল হকের ছেলে। সে নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্র।
আহত ফয়সাল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, সকাল ৮টায় নারায়ণগঞ্জের তোলারাম কলেজে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। সকাল পৌনে ৯টায় দনিয়া কলেজের সামনে রাস্তায় পিকআপটি তার উপর দিয়ে চলে যায়।
সিদ্ধিরগঞ্জের প্রো অ্যাকটিভ মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল লিমিটেডের ডাক্তার এটিএম বাহার উদ্দিন জানান, ফয়সালের বাম পায়ের হিপ জয়েন্ট, বাম দিকের কোমড়ে ও ঠোঁটে আঘাত লেগেছে। তার সুস্থ হতে ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে। তবে এখন শঙ্কামুক্ত।
ফয়সালের বাবা শামসুল হক বলেন, সকাল পৌনে ১০টায় ফোন করে বলে ফয়সালকে গাড়ি চাপা দিয়েছে। তাই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে আবার জানায় তাকে সাইনবোর্ড এলাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে ফয়সাল বেঁচে আছে। আপনারা দোয়া করবেন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর অন্যান্য জায়গার মতো শনির আখড়ায়ও আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন বাস আটক করে চালকদের লাইসেন্স দেখছিল। যেসব গাড়ি চালকের লাইসেন্স নেই তাদের গাড়ি সাইড করে রাখতে বলছিল। এ সময় রাস্তা ফাঁকা পেয়ে উল্টোপথ দিয়ে একটি পিকআপ দ্রুত গতিতে চলে আসে। শিক্ষার্থীরা সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। তখন পিকআপ চালক গাড়ি না থামিয়ে গতি আর বাড়িয়ে দেয় এবং এক শিক্ষার্থীকের চাপা দিয়ে চলে যায়।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান