বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকা ১টি কেন্দ্র এবং ফলাফল স্থগিত থাকা ১৫টি কেন্দ্র সহ মোট ৩০টি কেন্দ্রে বিভিন্ন অভিযোগ তদন্ত শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টা থেকে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন যুগ্ম সচিবের নেতৃত্বে ৪সদস্য বিশিষ্ট একটি দল এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। আগামী ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তাদের তদন্ত কার্যক্রম চলবে।
তদন্ত দলের প্রধান নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব খোন্দকার মিজানুর রহমান জানান, তারা মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ এবং সংশ্লিস্ট সকলের সাক্ষ্য গ্রহণ করছেন। এর ভিত্তিতে তারা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে একটি তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেবেন। এরপর ওইসব কেন্দ্রে নতুন নির্বাচন হবে নাকি ফল ঘোষণা হবে সেটা সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
গত ৩০ জুন অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে ৬জন প্রতিদ্বন্দ্বি মেয়র প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র আওয়ামী লীগের প্রার্থী বাদে অপর ৫ জন একযোগে নির্বাচন বর্জন করেন। নির্বাচন কমিশন ওইদিন একটি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ এবং ১৫টি কেন্দ্রের ফল ঘোষণা স্থগিত করেন। এছাড়াও কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিরা নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকলেও বেসরকারীভাবে মেয়র প্রতিদ্বন্দ্বিকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়নি। এমনকি ৮টি সাধারণ এবং ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিকে নির্বাচিত ঘোষণা করা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/ই-জাহান