ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো.আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘আমরা বাস থামানোর জন্য ১২১টি স্থান নির্ধারণ করেছি। এগুলোতে বোর্ড লাগানো হচ্ছে। এসব স্থানের বাইরে কেউ বাস থামাতে পারবে না। পাশাপাশি বাস স্টপেজ ছাড়া কোথাও বাসের দরজা খুলবে না, বন্ধ থাকবে। যাত্রীরাও বাস স্টপেজ ছাড়া অন্য কোথাও নামতে পারবেন না।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিন সেপ্টেম্বর মাসকে ট্রাফিক সচেতনতা মাস হিসেবেও ঘোষণাা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘সারাদেশে সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফেরাতে আইনগত প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের পর পুলিশ আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনা নিয়ে কাজ করছে। শৃঙ্খলা না ফেরার কারণ হিসেবে বেশিরভাগ মানুষের আইন না মানার প্রবণতাকে দায়ী করেছেন তিনি।’
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে কথা বলেছি। তারা হেলমেট না থাকলে তেল সরবরাহ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।’
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘এ মাসে বিশেষ ট্রাফিক কার্যক্রম চলবে। সকলকে আইন মানতে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতি বেলায় নিয়ম করে ৩২২ জন রোভার স্কাউট সদস্য রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দায়িত্ব পালন করবেন।’
তিনি বলেন, ‘সড়কের তুলনায় যানবাহন বেশি হওয়ায় এবং বিভিন্ন স্থানে বড় বড় প্রকল্পের কাজের কারণে যানজট হচ্ছে।’
ডিএমপি কমিশনার জানান, গত মাসে ট্রাফিক সপ্তাহে ৮৮ হাজার মামলা হয়েছে। এতে জরিমানার পরিমাণ ৫ কোটি টাকার বেশি।
রাজধানীর জাহাঙ্গীর গেট থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কে মডেল ট্রাফিক সিসটেম চালু করা হবে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান