স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে ‘উপহার’ হিসাবে দেওয়া সরকারি চাকরিতে কোটা বরাদ্দের বিষয়টি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় কমিটির নেতারা। তারা প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
আজ শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান তারা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার বর্গের অভিভাবক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শাসনামলে তারা অধিকার বঞ্চিত হবেন এমনটি তারা কামনা করেনা। পাশাপাশি কোটা নিয়ে আন্দোলনে নেমে বিএনপি জামায়াতের এজেন্ডাও বাস্তবায়ন করতে চাননা মুক্তিযোদ্ধারা। তাই কারো কথায় কান না দিয়ে অবিলম্বে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
তারা আরও বলেন, আপনি আমাদের আজীবন প্রধান পৃষ্টপোষক ও প্রধান উপদেষ্টা। মুক্তিযোদ্বারা তাদের সন্তানদের নিয়ে আপনার সাথে আছে এবং থাকবে। মুক্তিযোদ্বা সংসদের এখন কোনো কমিটি নাই, আপনিই আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল।
বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন মুক্তিযোদ্বা সংসদের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, ভাইস চেয়ারম্যান বিএলএফ মুজিব বাহিনীর মোহাম্মদ আবদুল হাই, হারুন উর রসিদ, সৈয়দ সামছুল কাউনাইন কুতুব, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন পাহাড়ী বীর প্রতীক, যুগ্ম মহাসচিব আলহাজ্ব শরীফ উদ্দীন, মোশারেফ হোসেন, হারুনুর রশীদ জিল্লুর, আফছার উদ্দিন, আবুল খায়ের, জেলা কমান্ডার ফোরামের আহ্বায়ক ফরিদপুরের কমান্ডার মো. আবুল ফয়েজ, টাঙ্গাইলের কাজী আশ্রাফ হুমায়ুন বাংগাল, ময়মনসিংহের আবদুর রব, গাইবান্ধার মাহমুদুল হক শাহজাদা, নোয়াখালীর মোজ্জামেল হক মিলন, চাঁদপুরের এম এ ওয়াদুদ, বান্দরবানের এম এ জলিল, চট্টগ্রাম জেলার শাহাবুদ্দিন, মহানগরীর মোজ্জাফর, ঢাকা মহানগরীর শফিকুর রহমান শহীদ, রাজশাহী জেলার সাইদুর, মহানগরীর ডাঃ আবদুল মন্নান, দিনাজপুরের মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, পঞ্চগরের লিয়াকত, রংপুরের মোঃ মনজুরল ইসলাম, পিরোজপুরের গোলাম রসুল, বরগুনার আলহাজ্ব আবদুর রশীদ, বগুড়ার ডাঃ এম জহুরুল ইসলাম, সিলেটের সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, কুমিল্লার সফিউল আহমেদ বাবুল, বাহার উদ্দিন রেজা বীর প্রতীক, মোলভী বাজারের জামাল উদ্দিন, সুনামগঞ্জের নুরুল মমিন, হবিগঞ্জের অ্যাডভোকেট মোঃ আলী পাঠান, নরসিংদীর আবদুল মোতালিব পাঠান, বাহ্মণবাড়িয়ার হারুনুর রশীদ, সিরাজগঞ্জের সোহরাব, ফেনীর আবদুর রহমান মজুমদার, লক্ষীপুরের নুরুজ্জামান মাস্টার, রাংগামাটির রোবাট পিন্টু, খাগড়াছড়ির রইছ উদ্দিন, বাগেরহাটের শাহীনুল আলম ছানা, কুষ্টিয়ার মানিক কুমার ঘোষ, মেহেরপুরের বশির আহমেদ, চুয়াডাঙ্গার মোঃ আবুল হোসেন, উপজেলা কমান্ডার ফোরামের বেগমগঞ্জ উপজেলা কমান্ডার আবুল হোসেন বাংগালী, মোহাম্মদপুরের এল এম জি আবদুর রব, মিরপুরের কমান্ডার নজরুল ইসলাম, কাফরুলের হাজী ইসমাইল, ফেনী পরশুরামের হুমায়ুন শাহারিয়ার, সোনাগাজীর কমান্ডার নাসির, ফুলগাজীর বাসার, কোম্পানীগঞ্জের আবদুল আজিজ প্রমুখ।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন