ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশার বিপক্ষে প্রকাশ্যেই কথা বলেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার। বাদশাও কম যাননি। এসবই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের কথা। নির্বাচনের পর কিছুদিন আলাদা থাকলেও এবার সব তিক্ততা ভুলে এক হয়েছেন এই দুই নেতা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ফজলে হোসেন বাদশার সঙ্গে ডাবলু সরকারের সম্পর্কের উষ্ণতায় কলকাঠি নেড়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় এক নেতা। সম্প্রতি কেন্দ্রের ডাকে ঢাকায় গিয়েছিলেন ডাবলু সরকার। এরপরই এই দুই নেতাকে ঘনিষ্ঠভাবে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
ডাবলু সরকার অবশ্য বলছেন, সম্পর্কে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তবে গত নির্বাচনে ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীক পাওয়ার পর তার পক্ষেই আন্তরিকভাবে মাঠে ছিলেন। এ কারণে হয়তো ফজলে হোসেন বাদশা তার ভুল বুঝতে পেরেছেন। এখন তাদের মধ্যে সম্পর্কের ঘাটতি নেই বলে জানান তিনি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবগুলো আসনে যেখানে অনায়াসে বিজয়ী মহাজোটের প্রার্থীরা, সেখানে রাজশাহী সদরে ঘাম ঝরাতে হয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতার পর বিজয়ী হয়েছেন বিএনপি প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর সঙ্গে।
রাজশাহী-২ আসনে মহাজোট প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা নৌকা প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ১৫ হাজার ৪৭৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মিজানুর রহমান মিনু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন এক লাখ ৩ হাজার ৩২৭ ভোট। ভোটের ব্যবধান ১২ হাজার ১৪৬।
ফজলে হোসেন বাদশার এমন কঠিন জয়ের নেপথ্যে তিন কারণ বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বাদশাকে হারাতে জামায়াতের বিনিয়োগ, শুরু থেকে আওয়ামী লীগের একটি অংশের নিশ্চুপ থাকা এবং বাদশার সঙ্গে একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সম্পর্কের অবনতি। এই একাধিক নেতার মধ্যে ছিলেন ডাবলু সরকারও।
তবে নির্বাচনের পর এই দুই নেতা এখন অনেকটা কাছাকাছি। ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘তার (ডাবলু) সঙ্গে কোনোদিনই খারাপ সম্পর্ক ছিল না। সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক।’
বিডি প্রতিদিন/কালাম