সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেছেন, সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনা ও ফেনীর নুসরাতের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যার ঘটনার পেছনে কারা আছে তা তুলে ধরতে হবে। ২০০১ সালে পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করা হয়। আমরা শুধু তার নামই জানি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের আমলে পূর্ণিমা ছাড়াও আরও শত শত মেয়ে ধর্ষিত এবং হিন্দুদের খুন করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের আমলে একটি মামলাও করা হয়নি। তবে বর্তমান সরকারের আমলে সে মামলা হয়। বিএনপি সরকার এ নিয়ে কোনও তদন্ত কমিশনও গঠন করেনি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল।
শুক্রবার ডিআরইউ এর সাগর-রুনি মিলনায়তনে সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম (সালফ) আয়োজিত 'উন্নয়ন, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও মানবাধিকার' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সরকারের পাশাপাশি আইনজীবী ও মিডিয়া গুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক এ বিচারপতি।
সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরামের সভাপতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আব্দুর নুর দুলাল, ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এ কে এম আমিন উদ্দিন, অ্যাডভোকেট শেখ সাইফুজ্জামান জামান, অ্যাসিসট্যান্ট এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোঃ আলি জিন্নাহ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ বশির উদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জগলুল কবির, অ্যাডভোকেট সেলিম জাবেদ, যুগ্ম সম্পাদক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক এনাম, আন্তর্জাতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো: শাহ আলম ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোর্শেদা পারভীন প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট আবদুন নূর দুলাল বলেন, মানবাধিকার রক্ষায় বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ এখন উত্তম রোল মডেল। মানবাধিকার সুরক্ষার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ। তাই মানবাধিকার রক্ষায় দল মত নির্বিশেষে সবাইকে একত্রে কাজ করার অঙ্গীকার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নুসরাতের প্রতি যে নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে এর দায় আমরা কেউ এড়াতে পারি না। দেশে বিভিন্ন ইস্যুতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনক। আজ নুসরাতের বিষয়ে সমগ্র বাংলাদেশ জেগে উঠেছে, তাই এটাকে কাজে লাগিয়ে মাদক, জঙ্গিবাদও ধর্ষণমুক্ত বাংলাদেশ চাই শ্লোগানে সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পরিকল্পিতভাবে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সারা দেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় বইছে। হত্যাকারী ও এ ঘটনায় সহায়তাকারীদের প্রতি সর্বত্র ধিক্কার ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, নুসরাত নিষ্ঠুরতায় দায় কার?
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন