পহেলা বৈশাখের উচ্ছ্বাস এবার দীর্ঘশ্বাস হয়ে দেখা দিয়েছে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকলের অর্ধলাখ শ্রমিক পরিবারে। অর্ধাহারে-অনাহারে থাকা শ্রমিকরা মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে নববর্ষের ১ম দিনেও আন্দোলনে নেমেছেন রাজপথে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দাবি আদায়ে মহানগরীর খালিশপুর শিল্পাঞ্চলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শ্রমিকরা। খুলনার ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম এবং যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিলের শ্রমিকরা এ আন্দোলনে যোগ দেয়। বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের ডাকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এছাড়া সোমবার সকাল থেকে টানা ৯৬ ঘণ্টা মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করবে শ্রমিকরা। একই সাথে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজপথ-রেলপথ অবরোধ করা হবে। বিরতি দিয়ে ২৫ এপ্রিল প্রত্যেক মিলে শ্রমিকসভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৭ এপ্রিল থেকে শুরু হবে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ খুলনা অঞ্চলের আহবায়ক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, আমাদের কোনো পহেলা বৈশাখ নেই। ঠিকমতো দু’মুঠো খেতে পারছে না শ্রমিকরা। বেতন না থাকায় অনেকের ছেলে-মেয়ের লেখাপড়াও বন্ধ হয়ে গেছে। সবাই নববর্ষ পালন করছে। আর পাটকল শ্রমিকরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলোতে ৮ থেকে ৯ সপ্তাহ মজুরি না পেয়ে শ্রমিকরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। ৯ দফা দাবি আদায়ে গত ৬ মার্চ ঢাকায় বিজেএমসির সাথে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা সফল না হওয়ায় টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে শ্রমিকরা।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল