২০ এপ্রিল, ২০১৯ ১৫:২২

৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হেরে গেছে : দুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হেরে গেছে : দুলু

ফাইল ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকতার দুলু বলেছেন, গত ৩০ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হয়নি। এ নির্বাচন হচ্ছে একটা পাতানো নির্বাচন। এটা একটা ষড়যন্ত্রের নির্বাচন। শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় রাজশাহীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
 
এসময় তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে মানুষ যেভাবে তৎকালীন পাকিস্তানকে বয়কট-প্রত্যাখান করেছিল, বাংলাদেশের মানুষ ৩০ ডিসেম্বরের আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করত। যখন দেখেছে দেশের মানুষ আবার আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখান করে ধানের শীষকে ক্ষমতায় বসাবে, তখন প্রশাসন পুলিশ দিয়ে আগের দিন ২৯ তারিখে তারা নির্বাচন করে আমাদের নিশ্চিত বিজয়কে ঠেকিয়ে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ জোর করে জয় লাভ করেছে। আসলে ৩০ তারিখ বিএনপি জয়লাভ করেছে। আওয়ামী লীগ যেদিন জোড় করে জয়লাভ করলো সেদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্র হেরে গেছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হেরে গেছে। 
 
রুহুল কুদ্দুস তালুকতার দুলু আরও বলেন, আমরা বগুড়ায় সমাবেশ করেছি, পাবনা ও সিরাজগঞ্জে করেছি এবং পর্যায়ক্রমে আমরা রাজশাহীতে এসেছি। এটা চলতে থাকবে।
 
তিনি বলেন, আজকে আপনারা জানেন আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় সরকার বিভিন্ন নাটক শুরু করেছে। আপনারা দেখেছেন কয়েকদিন আগে সরকারের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বলেছেন, যদি খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্যারোলের আবেদন করা হয়, তাহলে নাকি প্যারোলে মুক্তি দিবে। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। সেই নেত্রীকে কারাগারে আটকিয়ে রেখে সরকার নাটক করছে। 
 
তিনি আরও বলেন, আন্দোলন করেই আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা আন্দোলন করলেই সরকার বলে বিএনপি নাকি সন্ত্রাসী দল। দেশে কিছু হলেই বিএনপির দোষ। আবার আন্দোলন না করলেও বিএনপি ঘরে ঢুকে গেছে, বিএনপির শক্তি নাই। তাই আমরা মনে করি, সরকারকে আমরা অনেক ছাড় দিয়েছি, অনেক সুযোগ দিয়েছি। আমরা এখন মনে করি, সোজা আঙ্গুলে ঘি উঠবে না। আঙ্গুল বাকা করতে হবে। দলকে আবারও নতুনভাবে তৃণমূল পর্যায় থেকে যারা ত্যাগী, সাহসী, যারা অতীতে জেল-জুলুম অত্যাচারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, যারা ভয় পায় না-আমরা এই ধরনের সাহসী নেতাকর্মীকে দলে নির্বাচিত করতে চায়। তৃণমূল থেকে দলকে সংগঠিত করে এ সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা নেত্রীকে জেলখানা থেকে বের করে আনতে চায়।
 
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকার। আমরা মনে করেছিলাম, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু সেটি হচ্ছে না। এখন আন্দোলন করেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
 
বর্ধিত সভার উদ্বোধক ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার অ্যাডভোকেট কামরুল মনির। রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপুর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, আবদুস সাত্তার মণ্ডল, সাবেক এমপি জাহান পান্না।
 
 
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর