গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার হরতুকিতলা গ্রামে সাবেক স্ত্রী ফাহিমা আক্তারকে (৩০) ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে খুন করার পর মিকটুলা মিয়া এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসব ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত ফাহিমা আক্তারের চিৎকারে বাড়ির অন্য সদস্যরা এগিয়ে আসলে সাবেক স্বামী মিকটুলা মিয়া দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় মিয়া গ্রামবাসীর ধাওয়া খেয়ে ফাহিমাকে খুনে ব্যবহৃত ছুরি নিজের বুকে নিজেই ঢুকিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। পরে পাশের একটি পুকুরের পানির মধ্যে লাফিয়ে পড়েন।
পরে গ্রামবাসী দ্রুত মিকটুল মিয়া ও ফাহিমা আক্তারকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুইজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কালিয়াকৈর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড এলাকার হরতুকিতলা গ্রামের বাদশা মিয়ার ভাড়াটিয়া ফাহিমা আক্তার স্থানীয় একটি নায়াগ্রা নামক পোশাক তৈরির কারখানায় চাকরি করতেন। ওই দিন রাতে ফাহিমার সাবেক স্বামী মিকটুল মিয়া ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের ভিতর ঢুকে একটি ছুরি দিয়ে ফাহিমাকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় ফাহিমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সাবেক স্বামী মিকটুলা মিয়া দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মিকটুলাকে ধরার জন্য ধাওয়া দিলে মিকটুলা নিজেই খুনে ব্যবহৃত চাকুটি নিজের পেটে ঢুকিয়ে দিয়ে পুকুরের পানিতে লাফ দেয়। গ্রামবাসী ওই সময় মিকটুলা ও ফাহিমাকে উদ্ধার করে উপজেলা কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফাহিমা আক্তার শেরপুর সদর থানার মাইকপাড়া গ্রামের ইনতাজ আলীর মেয়ে। আর মিকটুলা মিয়া একই সদর থানার মালিনপার গোনাইমিয়া গ্রামের আশকর আলীর ছেলে।
ফাহিমার বাবা ইনতাজ আলী মোবাইল ফোনে জানান, গত ৫-৬ মাস আগে গ্রামের বাড়িতে গ্রাম্য শালিশের মাধ্যমে ফাহিমা আক্তার ও মিকটুলা মিয়ার সাথে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। তাদের দুইজনের মধ্যে কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমার মেয়ে ওই এলাকায় একটি কক্ষে তার এক বান্ধবীকে নিয়ে স্থানীয় একটি পোশাক তৈরির কারখাখায় চাকরি করতো। কি কারণে আমার মেয়েকে খুন করলো তা তো জানি না।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, সাবেক স্বামী স্ত্রীকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত দুইজনের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম