রাজশাহীতে আজ বুধবার থেকে ট্রেনের ঈদ ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে দেওয়া হচ্ছে ৭ জুনের ফিরতি যাত্রার টিকিট।
ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে কর্মস্থলে ফিরতে টিকিটের জন্য মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা থেকেই রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান নেন বহু যাত্রী। তারা স্টেশনের টিকিট কাউন্টারের সামনেই শুয়ে বসে রাত পার করেছেন। অনেকে আবার সেহরির পর থেকে রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় করেন।
ঈদ ফিরতি যাত্রায় ভোগান্তি এড়াতে ও কাজের জন্য অফিসে ফিরতে প্রথম দিনের টিকেট নিতে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে এসেছেন যাত্রী ও তাদের স্বজনরা। পার করছেন নির্ঘুম রাত।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল করিম জানিয়েছেন, টিকিট বিক্রি শুরু হয় সকাল ৯টা থেকে। ৫ জুন ঈদের দিন ধরে রাজশাহী থেকে ঢাকা, খুলনা, পার্বতিপুরসহ বিভিন্ন রুটের ৭ জুনের টিকেট দেওয়া হচ্ছে আজ।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের অধীন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফিরতি টিকিট বিক্রি শুরু হলো আজ। টিকিট বিক্রি চলবে আগামী ২ জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের, ১ জুন ১০ জুনের ও ২ জুন ১১ জুনের আগাম ফিরতি টিকিট বিক্রি হবে। এভাবে ২ জুন পর্যন্ত স্টেশন থেকে দেওয়া হবে ফিরতি টিকিট।
এদিকে, বুধবার সকালে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে লক্ষ্য করা যায়, স্টেশন চত্বরে নারী-পুরুষের লম্বা লাইন। তারা আজ ৭ জুনের টিকিট নিতে এসেছেন। কেউ আগের দিন রাতে কেউ আজ ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এতে কেবল টিকিট প্রত্যাশীদের লাইনই দীর্ঘ হয়েছে।
অধিকাংশ মানুষই টিকিটের জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করছেন। ঢাকার মত এখানেও 'রেল সেবা' অপসে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে টিকিট দিতে ও কালোবাজারি ঠেকাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ কমার্সিয়াল ম্যানেজার (সিসিএম) এএমএম শাহ নেওয়াজ জানান, মোট টিকিটের অর্ধেক 'রেলসেবা' নামে অ্যাপস থেকে আর বাকি টিকিট বিক্রি হবে কাউন্টার থেকে। প্রথম দিন চাপ বেশি থাকায় সাময়িক সমস্যা হতে পারে। তবে তা ঠিক হয়ে যাবে বলেও উল্লেখ করেন রেলওয়ের এই ঊর্ধতন কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম