চট্টগ্রাম নগরের অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় এবং খালের পাড়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) নোয়াখালে এবং জেলা প্রশাসন পরিবেশ অধিদফতর সংলগ্ন পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।
দুপুরে নগরের পরিবেশ অধিদফতর সংলগ্ন পাহাড়ে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন এবং মো. তৌহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। বেলা ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত পরিচালিত এ অভিযানে ৫০টি ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে ১৫৬জন বসবাসকারীকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘পরিবেশ অধিদফতর সংলগ্ন পাহাড় থেকে ৫০টি ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্ষায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটলে এসব পাহাড়ে প্রাণহানি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।’
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তারা আবারো অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বসবাস শুরু করে।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নগরে সরকারি-বেসরকারি ১৭টি অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। এসব পাহাড়ের পাদদেশে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে গ্যাস, বিদ্যুৎ এবং পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে, চট্টগ্রাম নগরের নোয়াখালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বৃধবার দুপুর ১২টা থেকে বিকাল পর্যন্ত অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সিডিএ’র স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সাইফুল আলম চৌধুরী। এর আগে, গত মঙ্গলবার রাজখালী খালের ২৬টি স্থাপনা উচ্ছেদ করে এক কিলোমিটার জায়গা উদ্ধার করা হয়।
সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক আহমেদ মঈনুদ্দিন বলেন, ‘দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযানে নোয়াখালের ওপর থেকে ১৫টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পর্যায়ক্রমে নগরের ১৩টি খালের ওপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। আগামী দুইমাস পর্যন্ত অভিযান চলবে।’
বিডি-প্রতিদিন/শফিক