রাজশাহীর পবা উপজেলার বায়া ভোলাবাড়ি এলাকায় ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যাপর পর আত্মসমর্পণ করেছিলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার তার ফাঁসির আদেশ হয়েছে।
কিন্তু এদিন গভীর রাতেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটলো। রেন্টু আহমেদ ওরফে শরিফুল (৩৬) নামের আরেক ব্যক্তি স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন। এবারের ঘটনাটি উপজেলার কলারটিকর গ্রামে।
প্রথমে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় আঘাত, পরে গলা ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন তিনি। রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটান রেন্টু। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বাড়ি থেকে প্রায় ছয় কিলোমিটার দূরে পবার দামকুড়া থানায় গিয়ে হাজির হন।এরপর পুলিশকে বলেন, তিনি তার স্ত্রী লাভলী বেগমকে (২৮) হত্যা করে এসেছেন। পুলিশ তখন তাকে আটক করে। এরপর রাতেই তার বাড়ি যায় পুলিশ।
দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, রেন্টুর অভিযোগ যে তার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। তাই তাকে হত্যা করেছেন। রেন্টু একজন নির্মাণ শ্রমিক। তার দুটি সন্তানও রয়েছে। রেন্টুর বাবার নাম কাশেম ওরফে খোকা। কয়েক বছর আগে একই উপজেলার সাইরপুকুর গ্রামের বাবলু মিয়ার মেয়ে লাভলীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
ওসি জানান, নিহত লাভলীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় লাভলীর বাবা বাবলু রেন্টুর বিরুদ্ধে হত্যা মামলাও দায়ের করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম