বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
- ভূমিকম্পে মেট্রোরেল স্থাপনার কোনো ক্ষতি হয়নি: ডিএমটিসিএল এমডি
- বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২ সমঝোতা স্মারক সই
- পুলিশের ৩ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
- আইন হয়ে গেলে গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে কমিশন: সিইসি
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক
- সিরাজগঞ্জে ডিবি হেফাজতে সন্দেহভাজন আসামির মৃত্যু
- ভূমিকম্পে হতাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে সরকার
- গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত
এমপির সামনে উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানের হাতাহাতি
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর পবা উপজেলা পরিষদে স্থানীয় এমপির সামনে উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় জুতা-স্যান্ডেল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে পবা উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় তলায় ভাইস-চেয়ারম্যানের কক্ষে এ ঘটনা ঘটেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রত্যক্ষদর্শী এক ইউপি চেয়ারম্যান জানান, পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু স্থানীয় এমপি আয়েন উদ্দিনকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করে- এমন অভিযোগ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে ভুলু ওই রুম থেকে বের হতে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান মনসুর রহমান পিছন থেকে তাকে ধরে কিল-ঘুষি মারেন। এ সময় ভুলুও ঘুরে উঠে মনসুরকেও কিল-ঘুষি মারেন। তাদের মধ্যে এই হাতাহাতির এক পর্যায়ে ওই কক্ষে উপস্থিত অন্যরা তাদের ধরে ফেলেন। পরে ভুলু সেখান থেকে বের হয়ে চলে যায়।
পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল বারী ভুলু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার এমপির সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু বলেন, ‘আমি পাশের রুমে বসে অন্য চেয়ারম্যানদের সঙ্গে গল্প করছিলাম। এ সময় এমপি ডাকছে বলে একজন পিয়ন আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। রুমে ঢোকার পর এমপি আয়েন উদ্দিন (রাজশাহী-৩ পবা-মোহনপুর আসন) তাকে গালাগালি করি বলে আমাকে ধমক দেয়। আমি বিষয়টি অস্বীকার করে রুম থেকে বের হওয়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মনসুর পিছন থেকে আমার উপর হামলা ও মারধর শুরু করে। সে আমাকে ৩-৪ ঘুষি মারে আমিও তাকে দুই ঘুষি মেরে দিয়েছি।’
হাতাহাতির বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা চেয়ারম্যান মনসুর বলেন, ‘গালাগালি করা নিয়ে এমপি আয়েন উদ্দিন ও ইউপি চেয়ারম্যার সাইফুল বারী ভুলুর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এনিয়ে সেখানে উত্তেজনা সৃষ্ট হয়। এর বেশি কিছু ঘটেনি।’
এমপি আয়েন উদ্দিন বলেন, ''ইউপি চেয়ারম্যার ভুলুকে আমি ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করি- আপনার বয়স হয়েছে। আপনি আমাকে কেন গালাগালি করেন। তবে তিনি আমাকে গালাগালি করার কথা অস্বীকার করেন। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, আমাকেও গালাগালি করে ভুলু। এনিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা হয়। তবে হাতাহাতির মত কোন ঘটনা সেখানে ঘটেনি।''
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর