দেশে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন টিকে আছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে। খেলাপি ঋণ নিয়ে একটা পাতানো খেলা চলছে। এই খেলা বন্ধ করে ব্যাংকিংখাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছেন দেশের বরেণ্য প্রশাসক ও অর্থনীতিবিদরা। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।
তারা বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসা করে অনেকে যেমন সম্রাট হচ্ছে তেমনি ব্যাংকিং সেক্টরে চুরি ডাকাতি করেও অনেকে সম্রাট হচ্ছেন। বড়লোকদের হাতে ক্ষমতা কাজেই তারা ব্যাংক থেকে টাকা মারছেন। অনেকেই হয়তো খেয়াল করেন না, ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ সংকট যত গুরুতরই হোক, প্রায় প্রতিটি প্রাইভেট ব্যাংক বিপুল মুনাফা করে যাচ্ছে। আবার এসব ব্যাংক-উদ্যোক্তারা অনেকেই রাজনৈতিক কানেকশনের জোরে ব্যাংক প্রতিষ্ঠার লাইসেন্স পেয়ে বিনা মূলধনে উদ্যোক্তা বনে গেছেন। ঋণখেলাপিদের নাম প্রত্যেক ব্যাংকের সামনে লিখে টাঙিয়ে দেয়া উচিত, যাতে ঢোকার সময় সবাই দেখতে পারে।
‘ব্যাংকিং খাত নিয়ে উল্টোপাল্টা পদক্ষেপ বন্ধ করুন : ব্যাংকিং সংস্কার কমিশন করুন’ শীর্ষক এ সভায় সভাপতিত্ব করেন সুজন-সভাপতি ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান। সভায় ব্ক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি, রাজনীতিবিদ অধ্যাপক আবু সায়ীদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালিদ, কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদ আল তিতুমীর, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ক্বাফী আল রতন প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক