বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। এই সফরে দুই দেশই লাভবান হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সাংস্কৃতি বিনিময়ে এই সফর ছিল অত্যন্ত চমৎকার। এর মধ্যেমে অনেক কিছু অর্জিত হয়েছে। সফরে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সাক্ষর হয়েছে।
শনিবার রাতে বরিশাল নগরীর গ্র্যান্ডপার্ক হোটেলের বলরুমে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার আরও বলেন, বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফর খুবই গুরুত্বপূর্ন ছিলো। কারণ দুই জন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের মধ্যে এটা ছিল প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত। নিকটস্থ দুই প্রতিবেশীর সাথে সুন্দর রাজনৈতিক সম্পর্ক বিরাজমান। বহু জটিল ইস্যু দুই দেশ সমাধান করেছে। আগামীতে দুই দেশ ভালোভাবে তাদের বন্ধুত্বকে আরও এগিয়ে নিতে পারবে।
ভারতীয় হাই কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রবৃদ্ধির হার ৮ ভাগের উপরে। বিশ্বে যত উন্নয়নশীল দেশ আছে তার মধ্যে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সবার উপরে। বাংলাদেশের প্রতি সবার একটা আগ্রহ আছে। ভারতের অনেক বিনিয়োগকারী আছে যারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়।
গত ৫ বছরে সিমানা বিরোধ নিষ্পত্তিসহ যত অর্জন হয়েছে, ভারত প্রত্যাশা করে আগামী ৫ বছরে, আগামী প্রজন্মের জন্য আরও বেশীকিছু অর্জন হবে। আজ দুই দেশের সম্পর্কে সোনালী অধ্যায় চলছে। আগামীতে সম্পর্ক আরও গভীর, আরও দৃঢ় এবং আরও কাছে পাওয়ার আশা করে ভারত। দুই দেশের জনগনের মধ্যে যোগাযোগ আরও বৃদ্ধিপাবে এবং সম্পর্ক সু-দৃঢ় হবে বলে আশা তার।
প্রথমবার বরিশাল সফরে এসে আতিথিয়েতায় মুগ্ধ বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাস। এর আগে স্বাগত বক্তৃতায় সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং ৭৫ পরবর্তী সময়ে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আগামীতেও ভারত বন্ধুপ্রতীম দেশ বাংলাদেশে সব ধরনের সহযোগীতা অব্যাহত রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, রেঞ্জ ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, মেট্রো পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান, র্যাব-৯’র কমান্ডিং অফিসার আতিকা ইসলাম, জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান, বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. শফিকুর রহমান সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস, সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নঈমুল হোসেন লিটু, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার শেখ কুতুবউদ্দিন আহমেদ, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এসএম ইকবাল, সহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হলে এবং আশপাশের এলাকায় কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার