১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ১৫:০৯

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলো ভোটার শূন্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলো ভোটার শূন্য

বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় উপজেলার ৯৯টি কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরামহীন ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে। 

সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে কিছু ভোটার উপস্থিতি থাকলেও সকাল ১১টার পর বেশির ভাগ কেন্দ্র ভোটার শূন্য দেখা গেছে। এদিকে ৯৯টি ভোট কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের কোন পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। অপরদিকে ভোট কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ঢুকতে না দেয়ার অভিযোগ করেছে বিএনপি। ‘পংকজ লীগের’ লোকজন সবগুলো কেন্দ্র দখল করে ইভিএমে ভোটাররা আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর তাদের বের করে দিয়ে তাদের পছন্দের প্রতীকে ছাপ দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ওই উপজেলায় নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদ। 

সকাল ৯টায় মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৯৯টি কেন্দ্রে একযোগে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহন শুরু হয়। কিন্তু কোন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি’র কোন পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। সকালের দিকে কেন্দ্রগুলোতে কিছু ভোটার উপস্থিতি দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সব কেন্দ্র ভোটার শূন্য হয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন ছাড়া বলতে গেলে কোন কেন্দ্রেই প্রতিদ্বন্দ্বী অন্যান্য প্রার্থীদের তেমন কোন লোকজন দেখা যায়নি। 

আওয়ামী লীগ প্রার্থী অ্যাডভোকেট মুনসুর আহমেদ অভিযোগ করেন, ‘পংকজ লীগের’ লোকজন ভোট কেন্দ্রে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে তাদের ভোটার ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না। যারা কেন্দ্রে যাচ্ছে তাদের আঙ্গুলের ছাপ দেয়ার পর প্রতীকের ছাপ বিদ্রোহী প্রার্থীর লোকজন দিয়ে দিচ্ছে। পংকজ দেবনাথের লোকজন সব কেন্দ্র দখল করে রেখেছে। তাদের ভয়ে নৌকার পোলিং এজেন্ট কেন্দ্রে যেতে পারেনি। অনেজে এমপি’র ভয়ে এলাকা ত্যাগ করেছেন। 

ভোটার উপস্থিতি শূন্যের স্বীকার করে অ্যাডভোকেট মুনসুর বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের কর্মকান্ডে ভোটাররা সন্তুষ্ট নয় বলেই তারা ভোট কেন্দ্রমুখী হচ্ছেন না। 

এদিকে বিএনপি প্রার্থী গোলাম ওয়াহিদ হারুন অভিযোগ করেন, সকালে ভোট শুরুর আগে কেন্দ্রে কেন্দ্রে তার পোলিং এজেন্ট ঢুকতে গেলে তাদের বাঁধা দেয় স্থানীয় আওয়ামী লীগের লোকজন। কোন কোন কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট প্রবেশের পর তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। ভোটাররা কেন্দ্রে গিয়ে আঙ্গুলের চাপ দেয়ার পর  স্থানীয় ক্ষমতাসীনরা প্রতীকের ছাপ নিজেরাই দিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি ছাড়াও এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অপর ৪ প্রতিদ্বন্দ্বী হলো আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আন্ধারমানিক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সভাপতি মাহফুজ আলম (ঘোড়া), আরেক বিদ্রোহী কাজীরহাট থানা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ (আনারস), স্বতন্ত্র রফিকুল ইসলাম (দোয়াত-কলম), এবং জাতীয় পার্টির মো. হানিফ মিয়া (লাঙ্গল)। 

মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার ৯৯টি কেন্দ্রের ৫৭৭ টি কক্ষে মোট ভোটার ২ লাখ ১৮ হাজার ৬১৬জন। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৪৭জন পুরুষ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭ হাজার ২৬৯ জন। 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুুরুল আলম জানান, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন কর্মকর্তাসহ ১০ জন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। ৪ প্লাটুন করে বিজিবি ও কোষ্টগার্ড রিজার্ভ ফোর্স হিসাবে মেহেন্দিগঞ্জে অবস্থান করছে। প্রতি ৩টি কেন্দ্রের জন্য একজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে র‌্যাবের টহল টিম কাজ করছে। 

বিডি প্রতিদিন/মজুমদার

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর