বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- আমরা জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র আদায় করে ছাড়ব : নাহিদ
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
রাজশাহীতে বেড়েছে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

রাজশাহীতে বেড়েছে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত তিন মাসে ২ শতাধিক রোগী রাজশাহীর বিভিন্ন জেলা ও থানা থেকে এসে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মাঝে মারা গেছেন ৩০ জন রোগী।
চিকিৎসকদের মতে, অন্য সময়ের চেয়ে গত আষাঢ় থেকে আশ্বিনের এই দুই মাসে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ও মারা গেছে। আক্রান্তদের বেশির ভাগ রাজশাহী বিভাগের নওগাঁ ও নাটোর জেলার। আর রাজশাহীর দূর্গাপুর, বাগমারা, তানোর, গোদাগাড়ীর থানার রোগী সবচেয়ে বেশি।
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির পানি বাড়ায় নদনদী ও খালে বিলে সাপের উপদ্রব বেড়ে গেছে। দিনের বেলায় কম বের হলেও রাতে বেলায় সাপ বের হয়। এ সময় বাসাবাড়ি রাস্তা-ঘাট আর বিশেষ করে খালবিলে মাছ ধরার সময় সাপের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এর মাঝে ৯০ শতাংশ নির্বিষ আর বিষাক্ত সাপের কাটা রোগী ১০ শতাংশ। তবে বেশির ভাগ রোগী মারা যাচ্ছে সময় নষ্ট করে হাসপাতালে আসায়। এ সময় চিকিৎসকদের কিছু করার থাকছে না। আর নির্বিষ সাপে আক্রান্তদের উপজেলাতে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বিষাক্ত সাপের এন্টিভেনম ওষুধ না থাকায় হাসপাতালে নিয়ে আসতে হবে।
এর আগে গত শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাপে কাটা এক দম্পতির মৃত্যু হয়। নওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার রামচরণপুর গ্রামের নূর ইসলাম (৩০) ও তার স্ত্রী মৌসুমী খাতুন (২৬)। তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সাপের কামড়ে নূর ইসলামের বাবা সিরাজুল ইসলামেরও কয়েক মাস আগে মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানান, শুক্রবার মৃত নূর ও মৌসুমিকে নওগাঁয় প্রথমে অবস্থায় ওঝা দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
রামেক হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার অফিস সূত্রে মতে, গত তিন মাসে সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়েছে ৩০ জন। রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, হাসপাতালে গত তিন মাস থেকে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি রোগী আসে নওগাঁ ও নাটোর জেলা থেকে। এর মাঝে একজন রাসেল ভাইপার সাপে কাটা রোগী ছিলেন। তবে তাকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে আসায় চিকিৎসা দেওয়ার পরে রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছে। সময়ের বিষয়ে রোগীর স্বজদের সব সময় সতর্ক থাকতে হবে।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, কয়েকদিন আগেই থানার দায়িত্বরত চিকিৎসকদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। জেলার সব উপজেলাতে সাপে কাটা রোগীদের বিষয়ে বলা আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে দ্রুত রামেক হাসপাতালে পাঠানোর জন্য।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর