শিরোনাম
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফল প্রকাশ
- বিমানবন্দর এলাকার দুই জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ
- বাসে আগুন দিয়ে করছিলেন ভিডিও, ধাওয়া খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু
- ইমাম প্রশিক্ষণে সৌদি সরকারের সহায়তার আশ্বাস
- শাকসু নির্বাচন বানচালের অভিযোগে প্রশাসনিক ভবনে তালা
- নওগাঁয় বিএনপিতে যোগ দিল আরও ৭ শতাধিক সনাতন ধর্মাবলম্বী পরিবার
- প্রশাসন নিশ্চুপ থাকলে বিপদ আরও বাড়বে : গয়েশ্বর
- নতুন দুই দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন
- চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের
- আরও ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, চার বিভাগে কমিশনার
- ব্যাচেলর পয়েন্টের নতুন চমক স্পর্শিয়া
- শেষ মুহূর্তে গোল হজমে জেতা ম্যাচ ড্র করলো বাংলাদেশ
- সাজা শেষে ৭২ প্রবাসীকে দেশে পাঠাল মালয়েশিয়াস্থ হাইকমিশন
- উচ্চকক্ষে পিআর, সংসদের প্রথম ১৮০ দিনে সংবিধান সংশোধন
- আনুষ্ঠানিকভাবে জানানোর পর গণভোট বিষয়ে সিদ্ধান্ত : সিইসি
- সাঈদ খোকন ও তার বোনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার অনুমোদন
- ‘নির্বাচনের দিন গণভোটের ঘোষণায় আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের পথ রুদ্ধ’
- ২৩ নভেম্বর বিপিএলের নিলাম
- মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ডিকেবিএ’র ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- ঢাকা ওয়াসার এমডি হলেন আব্দুস সালাম ব্যাপারী
থানায় অভিযোগ থেকে ফিরে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
অনলাইন ভার্সন
রাজশাহীর বাগমারা থানায় স্বামী ও সতীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরের দিন পানের বরজ থেকে রফেলা (৪২) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে নিহতের পরিবারের দাবি রফেলাকে হত্যার পরে স্বামী রতন ও তার স্ত্রী নিজের পানের বরজে ঝুঁলিয়ে দিয়েছে। তবে পুলিশের দাবি, রফেলা আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
এদিকে, নিহতের ভাই মনসুর রহমান বাদী হয়ে বাগমারা থানায় দুলাভাই রতন ও তার আগের স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০৬ ধারায়।
এর আগে গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে হাশনিপুর এলাকার রতনের পানের বরজ থেকে গৃহবধূ রফেলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাগমারা থানার এসআই কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রফেলা থানায় অভিযোগ দিতে আসেন স্বামী ও তার সতীনের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তরা রফেলাকে তালাক দিয়ে চলে যেতে চাপ দেয়। এনিয়ে তাদের সংসারে অশান্তি চলছে। এসময় এসআই কামরুজ্জামান রফেলাকে বলেন, ‘আপনি বাড়িতে যান, এনিয়ে আমি রতেনের সঙ্গে কথা বলে মিমাংসার ব্যবস্থা করবো। পরে সন্ধ্যার দিকে রফেলা বাড়িতে চলে যায়। বাড়িতে ফিরে এসআইকে রাত ৮টার দিকে আমাকে কল করে রতনের মোবাইল নম্বর দেন রফেলা।’
মামলার বাদী মনসুর রহমান বলেন, তার বোনকে প্রায় মারধর করতো রতন। এনিয়ে শুক্রবার রাতে বাসায় এসে স্বজনদের বলে আমি ভাত খাবো না রতনের। আর রতনের বাড়িতে যাবোও না। একই দিনে রাত ১০টার দিকে বাড়ির বাইরে বের হয় রফেলা। এরপর অনেক খোঁজাখুজি করেও রফেলাকে পাওয়া যায়নি। পরের দিন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে এলাকাবাসী রতনের পানের বরজে রফেলার লাশ দেখে। পরে বাগমারা থানায় জানানো হয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে গত রবিবার দাফন করা হয়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এই মামলায় দুই আসামির মধ্যে একজনকেও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম
এই বিভাগের আরও খবর