বরিশালে করোনা সংক্রমণ এড়াতে লঞ্চ-বাসের পর থ্রি হুইলারসহ সব ধরনের যান্ত্রিক যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার মানুষ। এই অবস্থায় পায়ে চালিত রিক্সাই হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের চলাচলের ভরসা।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে গত মঙ্গলবার বরিশাল থেকে স্থানীয় এবং দূর পাল্লা রুটের লঞ্চ ও বাস বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপরও বুধবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশ কিছু যাত্রীবাহী বাস এসেছে বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় টার্মিনালের আগে কাশীপুর স্ট্যান্ডে।
কিন্তু বাস থেকে নেমে বিপাকে পড়েন শত শত যাত্রী। অটোরিক্সা, থ্রি হুইলারসহ কোনো যান্ত্রিক যান না পেয়ে তারা দীর্ঘক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন।
কিন্তু কোনো উপায়ন্ত না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওয়ানা হন। এ অবস্থায় রিক্সাই হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষের চলাচলের ভরসা। দূরের গন্তব্যেও রিক্সায় চলাচল করতে দেখা গেছে অনেককে। তবে রিক্সা ভাড়ার পরিমাণ ছিলো অন্য সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে চারগুণ। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়েই গন্তব্যে যেতে হয়েছে তাদের।
এছাড়া কিছু সংখ্যক মানুষকে অতিরিক্ত অর্থ গুণেও ভাড়ায় চলিত মোটর সাইকেলে চলাচল করতে দেখা গেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. এজাজ জানান, সরকার সাময়িক সময়ের জন্য গণপরিবহন চলাচল নিষিদ্ধ করেছে। রোগী এবং অতি জরুরি মানবিক প্রয়োজন ছাড়া কাউকে কোনো গণপরিবহন ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন