কুমিল্লার চান্দিনায় করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহের প্রায় দুই ঘণ্টা পর এক কলেজ ছাত্রীর (১৭) মৃত্যু হয়েছে।
ভোমরকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে মৃত্যু হয় তার। ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী বরুড়া উপজেলার খোসবাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
নিহতের চাচা মাইজখার ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার সফিকুর রহমান জানান, গত ১৫/২০ দিন যাবৎ জ্বর-কাশিতে ভুগছিল সে। প্রাথমিকভাবে বাড়িতে চিকিৎসা নিয়ে তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে এক সপ্তাহ আগে রামমোহন বাজারের এক চিকিৎসক মাহবুবুর রহমানের কাছে চিকিৎসা নেয়। সেখানে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাও করা হয়। তারপরও জ্বর কমেনি, সাথে যুক্ত হয় নিউমোনিয়া।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর তিনি একটি ইঞ্জেকশনের নাম বলে দেন। শনিবার সকালে তিনি ফোন করে খোঁজ খবর নিয়ে বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ভর্তি না করে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বাড়িতে আসার এক ঘণ্টা পর বিকাল ৪টায় মৃত্যু হয় তার।
বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফোন করে বলেন, একজন লোক পাঠিয়ে দেন, আমি কিছু পিপিই দিব। আর সেগুলো পরেই দাফন কাজ করতে হবে। রাত ৯টার দিকে তিনজন লোক পিপিই পরে দাফন কাজ সম্পন্ন করেন। সাথে মসজিদের ইমামসহ পরিবারের আরও চারজন লোক জানাজায় অংশ নেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহসানুল হক বলেন, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত