করোনা দুর্যোগের কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের অভাব কিছুতেই ছাড়ছেনা। আর ক'দিন পরে ঈদ-উল-ফিতর। প্রতি ঈদে নিম্ন আয়ের দরিদ্র মানুষের ভরসা ছিল ভিজিএফ’র চাল। কিন্তু রংপুরে এখন পর্যন্ত ভিজিএফ’র কোন প্রকার বরাদ্দ আসেনি।
এদিকে ভিজিএফ চাল না পেলে রংপুরের হতদরিদ্র সাড়ে ৫ লাখ মানুষ বেকায়দায় পড়বে। ঈদের সময় ১০ কেজি চালই ছিল ওইসব পরিবারের একমাত্র ভরসা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ রমজানের মধ্যে ভিজিএফ’র বরাদ্দ এলেও ১৮ রমজান পেরিয়ে গেলেও বরাদ্দ পাওয়ার কোন লক্ষণ নেই। জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা বলছেন এখন পর্যন্ত ঢাকা থেকে ভিজিএফ’র ব্যাপারে কোন নির্দেশনা কিংবা কোন প্রকার বরাদ্দের খবর পাওয়া যায়নি। বরাদ্দ আসবে কিনা এ বিষয়টি অনিশ্চিত।
প্রতি বছর ঈদের সময় রংপুর জেলার ৮ উপজেলার ৭৬টি ইউনিয়ন এবং পীরগঞ্জ, বদরগঞ্জ ও হারাগাছ তিন পৌরসভায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ দরিদ্র ও দুস্থ পরিবারকে ১০ কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হত। জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধায়নে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটির সহযোগিতায় ভিজিএফ কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে এই চাল বিতরণ করা হয়ে থাকে। কিন্ত এখন পর্যন্ত ভিজিএফ’র চালের কোন বরাদ্দ না আসায় প্রায় সাড়ে ৫ লাখ পরিবার হতাশ হয়ে পড়েছে।
জেলা পুনর্বাসন ও ত্রাণ কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান জানান, প্রতিবছর রমজানের শুরুতেই ভিজিএফ’র বরাদ্দ এসে যায়। এবার এখন পর্যন্ত ভিজিএফ’র কোন বরাদ্দ আসেনি। হাতে সময় খুবই কম। এই অল্প সময়ে ভিজিএফ’র বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে তিনি জানান।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল