রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে ৩৩ জন নতুন চিকিৎসক যোগদান করেছেন। ৩৯ তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এসব চিকিৎসককে এ হাসপাতালে পদায়ন করা হলে মঙ্গলবার বিকেলে তারা নিজ কর্মস্থলে যোগ দেন। হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসকরা নতুন চিকিৎসকদের বরণ করে নেন। করোনা হাসপাতালে নতুন চিকিৎসকরা যোগদান করায় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৮ এপ্রিল রংপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ১০০ শয্যা বিশিষ্ট শিশু হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য ১০ শয্যার আইসিইউ সাপোর্টসহ পুরুষ রোগীদের জন্য ৬০ শয্যা ও নারী রোগীদের জন্য ৩০ শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এ হাসপাতালে রংপুরের ১১ জন চিকিৎসক, ২৬ জন নার্স ও আয়া-ওয়ার্ড বয় ১৯ জন নিয়োজিত রয়েছেন। আইসিইউ পরিচালনায় নিয়োজিত রয়েছেন ৮ জনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
রংপুর বিভাগে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছিলো চিকিৎসকদের। স্বাস্থ্য বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিকিৎসক সংকটের তথ্য তুলে ধরলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ হাসপাতালে নতুন করে ৩৩ জন মেডিক্যাল অফিসার নিয়োগ করা হয়। রংপুর ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন হাসপাতালে তাদের যোগদান অনুষ্ঠানে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় দিক নির্দেশনা প্রদান করেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।
রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরম্ব কুমার রায়ের সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আমিন আহমেদ খান। এসময় বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. সুলতান আহমেদ, সহকারী পরিচালক জেড এ সিদ্দিকী, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. কানিজ সাবিহা, মেডিক্যাল অফিসার ডা. শায়খুল ইসলাম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রাখী সরকারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল