বরিশালের কীর্তনখোলো নদীর পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মাত্র ২ ঘণ্টার ব্যবধানে বুধবার দুপুর ২টার পর থেকে কীর্তনখোলার পাানি বিপদসীমা (২.৫৫ সেন্টিমিটার) ছাড়িয়ে যায়। বিকেল ৩টায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটার গেজ রিডিংয়ে কীর্তনখোলা নদীর পানি ২.৫৬ সেন্টিমিটার এবং বিকেল ৪টায় ২.৫৭ রেকর্ড করা হয়।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী প্রকৌশলী মো. জাভেদ জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাব এবং অমাবশ্যার কারণে নদ-নদীর পানি বাড়ছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় জোয়ারে নদ-নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে ৪ থেকে ৫ ফুট। জোয়ার থাকাবস্থায় ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানলে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশংকা করছেন তারা।
এদিকে, অমাবশ্যার জোয়ার এবং আম্ফানের প্রভাবে নদ-নদীতে পানি থই থই করছে। খালসহ বিভিন্ন শাখা ও প্রবাহ দিয়ে নদীর পানি গ্রামেগঞ্জে লোকালয়ে ঢুকে যাচ্ছে। নিম্নাঞ্চল ও নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে কৃষি ক্ষেতে থাকা বোরো ধান, মুগডাল এবং কাঁচা মরিচের ক্ষতি হয়েছে। ভেসে যাচ্ছে বহু পুকুর ও ঘেরের মাছে। বরিশাল নগরীতেও বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
কীর্তনখোলা নদী ছাড়াও বাকেরগঞ্জের কারখানা নদীর পানি বিপদসীমার (২.৪০সেন্টিমিটার) ৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সকাল থেকে কয়েকবার সূর্য উকি দিলেও দুপুরের পর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি আবোর কখনও ভারী বৃষ্টি হয় বরিশালে। সাথে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। আম্ফানের প্রভাবে নদ-নদী উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে পটুুয়াখালীর কলাপাড়ায় নৌকা ডুবে একজন নিখোঁজ রয়েছে। পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বলেশ্বর নদীর তীরে এলজিইডি’র বেড়িবাঁধ ভেঙে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বরগুনা সদরে একটি স্লুইচ গেট জোয়ারের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী জানান, বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিভাগের ৬ জেলায় ১৪ লাখ ৩৪ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। আরও মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হচ্ছে। করোনার কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ফেস মাস্ক পড়া সহ যাবতীয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন