রাজশাহীর আড়ানী পৌরসভা ২০০৬ সালে গঠিত হলেও নিজস্ব জায়গার অভাবে পৌরভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। ভাড়া করা ভবনেই চলে আসছিল পৌরসভার দাফতরিক কার্যক্রম।
বিষয়টি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের নজরে আসলে ব্যক্তিগতভাবে তিনি ক্রয়পূর্বক পৌরসভার নামে জমি দান করছেন।
সোমবার (১৫ জুন) দুপুরে ৪৬ শতাংশ জমি দানপত্র দলিল দাখিল করা হলে দলিলের অনুমোদন দেন উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জমি দানের সত্যতা স্বীকার করে আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার আলী বলেন, জমির অভাবে দীর্ঘদিন পৌরসভার ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছিল না। সুবিধা মতো জায়গা পাওয়াও যাচ্ছিল না। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে।
পৌরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে দ্রুত ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ভবন নির্মাণের জন্য সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী যতটুকু জমির প্রয়োজন তা ক্রয় করে পৌরসভার নামে দান করে দেন। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর জমি দানের ফলে পৌরসভার ভবন নির্মাণে আর কোনো বাধা রইল না। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দান করা জমিতেই নির্মিত হবে আধুনিক মডেলের পৌর নতুন ভবন।
ইতিপূর্বে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ‘আড়ানী মা ও শিশু হাসপাতাল’ গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, চকরাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণের জন্য ব্যক্তিগতভাবে জমিদান করেন। (৩৫ লাখ টাকায় আড়ানী মা ও শিশু হাসপাতালের জমি, ২২ লাখ টাকায় গড়গড়ি ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনের জমি এবং ৫ লাখ চকরাজাপুর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স ভবনের জমি ক্রয় করে দেন)। এতে করে অত্র এলাকার সর্বস্তরের জনগণের কাছে প্রশংসিত হন তিনি।
গত ১৫ জুন আড়ানী পৌরসভার স্থায়ী ভবন নির্মাণের জন্য তিনি প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৬ শতাংশ জমি কিনে পৌরসভার নামে একটি দান দলিল সম্পাদন করেন। এতে করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোসহ আবেগ আপ্লুত হন আড়ানী পৌরবাসী।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম