ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রেড জোন চিহ্নিত পুরো এলাকায় লকডাউন হবে না। স্বাস্থ্য বিভাগের সুনির্দিষ্ট ম্যাপিং পাওয়ার পর প্রস্তুতির জন্য ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। মঙ্গলবার তিনি এই এ কথা জানান।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বেশি সংক্রমিত বলে চিহ্নিত ১৭টি এলাকার ওই তালিকা ছাড়া সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পায়নি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। তাই দ্রুত এসব এলাকা অবরুদ্ধও করতে পারছে না তারা। নির্দিষ্ট করে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা বা এলাকা চিহ্নিত করে না দিলে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষে লকডাউন কার্যকর করা সম্ভব নয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে এ ধরনের নির্দেশনাসহ ম্যাপিং পাওয়ার দুই-তিন দিনের মধ্যে তারা লকডাউন করতে পারবেন।
লকডাউন নিয়ে অন্ধকারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও। তারা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন তারা। রেড জোনে লকডাউন কার্যকর করার বিষয়ে এখনো সঠিক তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেও। আর লকডাউন কখন থেকে কার্যকর হচ্ছে বা কীভাবে তার বাস্তবায়ন হচ্ছে সেটি নিয়েও শঙ্কায় আছেন উত্তর সিটি করপোরেশনের রেড জোন বলে চিহ্নিত ১৭টি এলাকার বাসিন্দারা। তারা চান, করোনা সংক্রমণ রোধে দ্রুত কার্যকর হোক কঠোর লকডাউন।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রাজধানীর ৪৫টি এলাকাকে রেড জোন চিহ্নিত করে কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করে জাতীয় করোনা প্রতিরোধে গঠিত কারিগরি কমিটি। এরপরই সেই তালিকা পাঠানো হয় রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত