১৩ জুলাই, ২০২০ ১৭:২৬

ডিএনসিসির অভিযানে আরও ৮৭টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা

অনলাইন ডেস্ক

ডিএনসিসির অভিযানে আরও ৮৭টি স্থাপনায় এডিসের লার্ভা

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চিরুনি অভিযানের নবম দিনে ১৩ হাজার ৩১টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।

সোমবার পরিচালিত অভিযানে ৭ হাজার ৬৭১টি স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় ১৯টি মামলায় মোট ২ লাখ ৭ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। 

৪ জুলাই দশ দিনব্যাপী শুরু হওয়া চিরুনি অভিযানে এ পর্যন্ত মোট ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে মোট ৮৫০টিতে এডিসের লার্ভা এবং ৭১ হাজার ৩৩৬টিতে এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ পর্যন্ত ১৫১টি মামলায় মোট ২০ লাখ ২২ হাজার ৯১০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

আজ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) মোট ১ হাজার ৪৭১টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ১০৩টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-২) মোট ২ হাজার ৫৩৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৮২টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১১টি মামলায় মোট ১ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। 

মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) মোট ১ হাজার ৫০৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৯০৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৪২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৭৫৮টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) মোট ২ হাজার ৩৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫২৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) মোট ১ হাজার ৩২৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯৭৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

দক্ষিণখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) মোট ৮৯৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭৩২টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

উত্তরখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৮) মোট ৬১৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে ৪৬১টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময় এডিসের লার্ভা পাওয়ায় এবং মাস্ক না পরায় মোট ৬টি মামলায় ৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়  
ভাটারা অঞ্চলে (অঞ্চল-৯) মোট ৫০৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া  যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ২৭৯টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

সাতারকুল অঞ্চলে (অঞ্চল-১০) মোট ৭২৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৪৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। 

চিরুনি অভিযান চলাকালে সম্ভাব্য সকল এডিস মশার প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে। দশ দিনব্যাপী দ্বিতীয় পর্বের চিরুনি অভিযান আগামীকাল মঙ্গলবার শেষ হবে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর