স্বাস্থ্যবিধি মেনে শর্তসাপেক্ষে চলতি বছরের ১ নভেম্বর রাজধানীর মিরপুরের বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি বেশকিছু শর্ত প্রতিপালন নিশ্চিত করা সাপেক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে চিড়িয়াখানা খোলার এ অনুমতি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আজ বৃহস্পতিবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এতে বলা হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যে বিষয়গুলো নিশ্চিত করবে তা হলো-
১. চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে অমোচনীয় রং দিয়ে বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করতে হবে
২. প্রবেশ গেইটসমূহে জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ স্থাপন করতে হবে
৩. প্রবেশ গেইটে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীর দৈহিক তাপমাত্রা চেক করার ব্যবস্থা করতে হবে
৪. চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে
৫. দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে
৬. দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে
৭. প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণির এনক্লোজারের চারপাশে জীবানুনাশক স্প্রে করতে হবে
৮. পরিদর্শন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত নির্ধারিত রাখতে হবে
৯. ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক প্রচারণা চালাতে হবে এবং
১০. ষাটোর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে হবে।
দর্শনার্থীদের জন্য অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলো হলো :
১. চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে অমোচনীয় রং দিয়ে চিহ্নিত বৃত্তাকার স্থানে অবস্থান করতে হবে
২. প্রবেশ গেইটসমূহে স্থাপিত জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ ব্যবহার করতে হবে
৩. চিড়িখানার ভেতর প্রবেশের পর দিক নির্দেশক অনুসরণ করে একমুখী পথ ব্যবহার করতে হবে
৪. বাধ্যতামূলকভাবে ফেইস মাস্ক ব্যবহার করতে হবে
৫. চিড়িয়াখানায় খাবার নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না এবং
৬. চিড়িয়াখানার ভেতরে এক জাযগায় ভিড় বা জটলা করা যাবে না।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ২০ মার্চ জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ ঘোষণা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক