ধর্ষণ-নিপীড়ন বন্ধ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগসহ নয় দফা দাবিতে রাজধানী শাহবাগ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ অভিমুখে লংমার্চ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ ব্যানারে এই লংমার্চ শুরু করেছে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বাস ও পিকআপে প্রায় ৪০০ জন এই লংমার্চে অংশ নিচ্ছেন।
‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর নয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে নারী নির্যাতনবিরোধী সেল কার্যকর করা, সিডো সনদে স্বাক্ষর ও তার পূর্ণ বাস্তবায়ন এবং নারীর প্রতি বৈষম্যমূলক সব আইন ও প্রথা বিলোপ; ধর্মীয়সহ সব ধরনের সভা-সমাবেশে নারীবিরোধী বক্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, সাহিত্য-নাটক-সিনেমা-বিজ্ঞাপনে নারীকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন বন্ধ করা, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণে বিটিসিএলের কার্যকর ভূমিকা এবং সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক চর্চাকে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা; তদন্তের সময়ে ভুক্তভোগীকে মানসিক নিপীড়ন-হয়রানি বন্ধ করতে হবে এবং তার আইনগত ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অপরাধবিজ্ঞান ও জেন্ডার বিশেষজ্ঞদের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অন্তর্ভুক্ত করা, ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে অনিষ্পন্ন সব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা।
লংমার্চের অন্যতম আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল জানান, সকাল সোয়া ১০টার দিকে আমরা শাহবাগ থেকে গুলিস্তান এসেছি। এখান থেকে বাসে করে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া ও সোনারগাঁও, কুমিল্লার চান্দিনা ও শহর, ফেনী, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর চৌমুহনী ও একলাশপুরে যাব। পথে কয়েকটি সমাবেশ হবে। শনিবার বিকেলে নোয়াখালীর মাইজদীতে সমাবেশের মধ্য দিয়ে লংমার্চ শেষ হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন