ঢাকার আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় কিশোরী গণধর্ষণের ঘটনা অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগে শাহাদাৎ হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রবিবার আশুলিয়ার বাইপাইল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শাহাদাৎ হোসেন বিভিন্ন মূলধারার গণমাধ্যমের পরিচয় দিয়ে অসহায় ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতো বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (ইন্টেলিজেন্স) ফজলুল হক জানায়, গত ৩০ আগস্ট প্রতিবেশী চাচা সম্পর্কের দুই যুবকের সাথে বেড়াতে গিয়ে প্রিন্স সারুফ গ্যাংয়ের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয় এক কিশোরী। পরে বিষয়টি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করে শাহাদাৎ। এর কয়েকদিন পর ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে ৭ অক্টোবর পুলিশ অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাং এর প্রধান প্রিন্স সারুফসহ তিনজন গ্রেফতার করে। পরে গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর বোন ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫ জনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ে করেন। সেই মামলায় শাহাদাৎকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় শাহাদাৎ হোসেনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জিয়া বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ পাওয়ায় তার বড় বোন বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় উদ্ধার করা দুই কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন