অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের নামে থাকা অর্ধশত ব্যাংক আকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খান।
তিনি আজ সোমবার সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় তিনি বলেন, সেলিম প্রধান কত টাকা পাচার করেছেন সে সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আগে বলা মোটেও সমীচীন হবে না। টাকার উৎসও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। তবে ক্যাসিনো ব্যবসা এসব টাকার উৎস হতে পারে।
তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শেষে অভিযোগপত্র কমিশনে উপস্থাপিত হবে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে আসবে। টাকা উদ্ধারে এমএলআরএ-সহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। একাধিক দেশে (আমেরিকা ও থাইল্যান্ড) এমএলআরএ পাঠানো হয়েছে।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, থাইল্যান্ডে সেলিম প্রধানের মালিকানাধীন প্রধান গ্লোবাল ট্রেডিং, এশিয়া ইউনাইটেড এন্টারটেইনমেন্ট, তমা হোম পাতায়া কোম্পানি লিমিটেডসহ সাতটি কোম্পানির সন্ধান পাওয়া গেছে।
এছাড়াও ব্যাংকক ব্যাংক ও সায়েম কমার্শিয়াল ব্যাংকে ২০ কোটি টাকার আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। সেইসঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেপি মর্গান ব্যাংকে তার দু'টি ব্যাংক হিসেবে আর্থিক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর