ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখনো ভোটারবিহীন নির্বাচন করতে চায়। ধানের শীষের গণজোয়ারে ভীত হয়ে তারা নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় প্রশাসন মিলে এই ষড়যন্ত্র করছে। এটা আমরা হতে দেব না। জনগণের ভোটাধিকার রক্ষা করেই ঘরে ফিরব। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে কেন্দ্রে থাকব। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এ দেশে ভোটারবিহীন আর ভোটবিহীন নির্বাচন হবে না।
আজ সোমবার রাজধানীর উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন সড়ক ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড, এয়ারপোর্ট, জসীমউদ্দিন এলাকায় গণসংযোগ করেন ধানের শীষের প্রার্থী। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সরকারকে এ হুঁশিয়ারি দেন। বেলা ৩টায় গণসংযোগ শুরুর আগে ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয়সহ আশপাশে ধানের শীষের পক্ষে জনস্রোত নামে।
এ সময় এস এম জাহাঙ্গীরের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বনির্ভর বিষয় সম্পাদক শিরীন সুলতানা, বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাজিম উদ্দিন আলম, তাবিথ আউয়াল, আমিনুল হক, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুবদলের সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, রফিক শিকদার, সালাউদ্দিন ভূইয়া শিশির, আকরামুল হাসান, কাজী আবুল বাশার, বজলুল বাছিত আনজু, মোস্তাফিজুল রহমান, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল, সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
এসএম জাহাঙ্গীর আরো বলেন, গত ২৪ অক্টোবর থেকে এই আসনের নির্বাচনী প্রচার শুরু হযেছে। এরপর থেকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে যেখানেই কর্মসূচি দেই, সেখানেই সংঘাত বাঁধাতে সেখানে আওয়ামী লীগ পাল্টা কর্মসূচি দেয়। আমাদের ধানের শীষের গণজোয়ার দেখে আমাদের মিছিলে হামলা করেছে, মামলা করেছে। এমনকি আমাদের মহিলা কর্মীরা প্রচারে গেলেও তাদের বাধা দেওয়া হয়। এই ঢাকা-১৮ আসনে জনগণ দীর্ঘদিন গণসংযোগ থেকে উপেক্ষিত, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। আমরা বিশ্বাস করি, আগামী ১২ নভেম্বর ঢাকা-১৮ আসনের সকল ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিবেন।
তিনি বলেন, এখানে যত অনিয়ম হচ্ছে, সন্ত্রাস হচ্ছে প্রশাসন কোনো সহযোগিতা করছে না। নির্বাচন কমিশনও কোনো সহযোগিতা করছে না। আমরা বার বার নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা